ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে সাকিব আল হাসানের না থাকা নিশ্চিতই হয়ে গেল।
Published : 11 Jan 2025, 09:39 PM
চেন্নাইয়ে দেওয়া বোলিং পরীক্ষায়ও সাকিব আল হাসানের উতরাতে না পারার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল আগেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার আগের দিন সেই খবর আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল বিসিবি।
ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের কারণে সব ধরনের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা বহাল রইল আগের মতোই। একইসঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে সাকিবের না থাকাও নিশ্চিত হয়ে গেল।
আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার শেষ দিন রোববার। তবে কোনো কারণ দেখানো ছাড়াই আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিবর্তন আনা যাবে দলে। এই সময়ে সাকিব যদি আবার পরীক্ষা দিয়ে উতরাতে পারেন, তাহলে তার খেলার সুযোগ তৈরি হবে। তবে সার্বিক পারিপার্শ্বিকতায় তার খেলার সম্ভাবনা এখন অতি সামান্য।
ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনে ধরা পড়ার পর দুই দফায় পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারলেন না সাকিব। ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে প্রথম পরীক্ষা দেন তিনি।
ওই পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল না পাওয়ায় গত ২১ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইয়ের শ্রী রামাচান্দ্রান সেন্টার ফর স্পোর্টস সায়েন্সে আবার পরীক্ষা দেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। কয়েকদিন আগেই জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় পাস করতে ব্যর্থ সাকিব।
তবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) থেকে আনুষ্ঠানিক বার্তা না পাওয়ায় বিসিবির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বলা হয়নি কিছু। ইসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় পরীক্ষার ফল পাওয়ার পরই সেটি জানাল বিসিবি।
বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও আগের মতোই ব্যাটিং করতে বাধা নেই সাকিবের। লঙ্কা টি-টেন লিগের সবশেষ আসরেও শেষ দিকে কয়েক ম্যাচে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেছেন তিনি।
আরেকবার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে পাস করার আগপর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেটে শুধু ব্যাটসম্যান পরিচয়েই খেলতে হবে সাকিবকে। বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা সরাতে নতুন পরীক্ষা কবে দেবেন সাকিব, সেটি এখনও জানা যায়নি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সারে ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে এক ম্যাচ খেলতে গিয়েই সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনে ধরা পড়েন সাকিব। সমারসেটের বিপক্ষে ওই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৩ ওভার বোলিং করেন তিনি। দারুণ বোলিংয়ে উইকেট নেন ৯টি।
ওই ম্যাচের প্রায় দুই মাস পর জানা যায়, সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সেই ম্যাচের দুই আম্পায়ার স্টিভ ও’শনেসি ও ডেভিড মিল্নস। তবে ম্যাচ চলাকালে ৬৩ ওভারে একবারও 'নো বল' ডাকেননি আম্পায়াররা।