‘সরকার উৎখাতের’ অপতৎপরতায় একটি মহল: ঢাবি নীল দল

সরকার ২০২৪ সালে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে নীল দলের নেতারা দাবি করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2022, 06:12 PM
Updated : 9 Dec 2022, 06:12 PM

ঢাকায় সমাবেশকে ঘিরে ‘বিএনপির সরকার উৎখাতে অপতৎপরতাকে রাষ্ট্রদ্রোহ’ কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

শুক্রবার বিকালে নীল দলের আহ্বায়ক মো. আবদুছ সামাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবদুর রহিম ও মো. আকরাম হোসেনের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, একটি মহল দেশে বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। নীল দল এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে৷

“দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে সরকার উৎখাতের জন্য এই মহল অপতৎপরতা শুরু করেছে। প্রকাশ্যে গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের হুমকিও তারা দিচ্ছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।”

বিবৃতি বলা হয়, গণতান্ত্রিকপন্থায় ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন। সরকার ২০২৪ সালে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

বিএনপির নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে বলা হয়, একটি রাজনৈতিক দল ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় জনসভার কর্মসূচি দিয়েছে। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল।

“এই দিনে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতি তৈরি একাত্তরের নৃশংসতাকে মনে করিয়ে দেয়।”

বুধবার নয় পল্টনে সংঘর্ষের সময় একজন পথচারীর প্রাণহাণিতে দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “আশা করি, সবার শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং বিধ্বংসী রাজনীতির পথ পরিহার করে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে।

“জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিধান অনুযায়ী কর্মসূচি পালনের অধিকার ভোগ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাই। অন্যথায় গণতান্ত্রিক ধারা বাধাপ্রাপ্ত হলে তা কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।”