মার্কিন কোম্পানিটি ম্যান মেইড ফাইবারের পোশাক নিয়েও বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আগ্রহও দেখিয়েছে।
Published : 15 Feb 2024, 10:51 PM
বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ দেখানোর পাশাপাশি ব্যবসাও বাড়াতে চায়।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতে মার্কিন কোম্পানিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এনড্রিয়া অলব্রাইট এ আগ্রহ দেখান।
গুলশানে উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে ওয়ালমার্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের অর্থনীতি, পোশাক খাতসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে ওয়ালমার্টের গ্লোবাল গর্ভনমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড বিজনেস ডিপ্লোমেসি এর ভাইস প্রেসিডেন্ট পল ডাইকসহ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, কোভিড মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশের পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে পোশাকের শীর্ষস্থানীয় খুচরা বিক্রেতা ওয়ালমার্টের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপটে অধিকতর স্থিতিশীলতা ও ক্রমাগত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক পরিধি বাড়ানোরও ইচ্ছা পোষণ করেছে বিশ্বখ্যাত মার্কিন খুচরা ব্র্যান্ডটি।
সালমান এফ রহমান পোশাক তৈরিতে প্রাকৃতিক তন্তুর পাশাপাশি ম্যান মেইড ফাইবারের ব্যবহার বাড়াতে ওয়ালমার্টকে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
মার্কিন কোম্পানিটি এ নিয়ে একত্রে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে তুলে ধরেন উপদেষ্টা।
ওয়ালমার্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় সালমান বলেন, "দেশের সব শিল্পকারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। বাংলাদেশের পোশাক কারখানার অনেকগুলোই বিশ্বের সর্বোচ্চ মানদণ্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।"
কমপ্লায়েন্স ভালোভাবে মেনে চলার ক্ষেত্রে উৎপাদনকারীর পাশাপাশি ক্রেতা-প্রতিষ্ঠানকেও যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
ওয়ালমার্টের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এনড্রিয়া অলব্রাইট বলেন, “বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের পোশাকের সুনাম রয়েছে। ওয়ালমার্ট দীর্ঘদিন ধরে এ দেশের পোশাক আমদানির সঙ্গে জড়িত। কোভিড মহামারীকালীন ক্রয়াদেশ কিছুটা কমলেও আশাকরি এখন সেটা বাড়বে।"