ক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন, সেজন্য প্রথমবারের মতো দেশে মান নির্ধারিত রুপার গহনা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
এতদিন দেশে মান নির্ধারিত কোনো রুপার অলংকার বিক্রি হত না বলে জানান তিনি।
একইসঙ্গে বিভিন্ন মানের রুপার দামও নির্ধারণ করে দিয়েছে বাজুস।
সোমবার থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট রুপার গহনা এক হাজার ৫১৬ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেটের রুপার অলংকার বিক্রি হবে এক হাজার ৪৩৫ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের ভরি বিক্রি হবে এক হাজার ২২৫ টাকায়।
আর সনাতন পদ্ধতির রুপার গহনা বিক্রি হবে ৯৩৩ টাকায়।
রোববার রাতে বাজুসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শনিবার বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় স্বর্ণের ন্যায় রৌপ্যের মান নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এক্ষেত্রে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রৌপ্যালংকার ব্যবসায়ীদের হলমার্কিং এর আওতায় আনার জন্য রৌপ্যালংকারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
দিলীপ কুমার আগারওয়ালা বলেন, “রুপার মান নির্ধারিত না থাকায় ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছিলেন। ক্রেতারা টাকা খরচ করে কী মানের রুপার গহনা কিনছেন, তা তারা বুঝতে পারতেন না।
“এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই আমরা সোনার মতো রুপার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রেও হলমার্কিং এর আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে দেশের সব দোকানে হলমার্কিং করা রুপার গহনা বিক্রি হবে।”