দুর্নীতি দমন কমিশনে কমিশনার পদে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সচিব মোছা. আছিয়া খাতুন। তিনি সরকারি কর্মকমিশনের সচিব হিসেবে অবসরে গিয়েছিলেন।
তাকে মঙ্গলবার দুদকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তার নিয়োগের এই প্রজ্ঞাপন হয়।
দুদক কমিশনার হিসাবে আছিয়া হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের অনুরূপ বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুবিধা ও পদমর্যাদা পাবেন।
আছিয়া দুদকে মোজাম্মেল হক খানের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। ২০১৮ সালের ২ জুলাই দুদকে কমিশনার হিসেবে যোগ দেওয়া মোজাম্মেলের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১ জুলাই। তখন এই পদে দায়িত্ব নেবেন আছিয়া। তিনি সহকর্মী হিসেবে পাচ্ছেন মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও মো. জহুরুল হককে।
মঈনুদ্দীন ২০২১ সালের ৩ মার্চ দুদকের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ পান। একই দিন থেকে কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান জহরুল।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী, তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হয়। তাদের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কমিশনারদের মেয়াদ হয় পাঁচ বছর।
মোজাম্মেলের বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসায় দুদকে নতুন একজন কমিশনার নিয়োগ দিতে গত এপ্রিল মাসে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে সভাপতি করে চার সদস্যের বাছাই কমিটি গঠন করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সেই কমিটি যে দুজনের নাম সুপারিশ করে, তার মধ্য থেকে আছিয়াকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিলেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
১৯৬৩ সালে চুয়াডাঙ্গায় জন্ম নেওয়া আছিয়া ২৯ বছর সরকারি চাকরিতে নানা পদে দায়িত্ব পালনের পর ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি পিএসসির সচিব থেকে অবসরে গিয়েছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আছিয়া বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। পরে তিনি নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমএ ও এমবিএ ডিগ্রি নেন।