আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ‘সহায়তা দেবে’ ইইউ

বিশ্ব ব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা দ্বিগুণ হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2024, 12:30 PM
Updated : 8 Feb 2024, 12:30 PM

বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

রোববার ঢাকায় তিনদিনব্যাপী আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলনের তৃতীয় দিনের একটি অধিবেশনে তার এই প্রতিশ্রুতি আসে।

চার্লস হোয়াইটলি বলেন, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার টেকসই জ্বালানির জন্য এই সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। বিশ্ব ব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা দ্বিগুণ হবে। গত এক দশকে এই অঞ্চলসহ বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে সৌর, জলবিদ্যুৎ ও বায়ু বিদ্যুতের ক্ষেত্রে অনেক ভালো খবর বেরিয়েছে। এসব প্রযুক্তিতে ক্লিন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি পাওয়া যায়। এই সম্ভাবনাকে সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে অর্থনৈতিক, সমাজিক ও পরিবেশগত দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অঞ্চলের নবায়নযোগ্য জ্বালানি পদক্ষেপে সহায়তা করবে জানিয়ে তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম ও সংযোগ ব্যবস্থাপনা জরুরি। দক্ষিণ এশিয়ায় আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎসগুলোকে যৌথভাবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, “এই প্রক্রিয়া একেবারে সহজ হবে না। এর জন্য প্রয়োজন সব পক্ষ থেকে কঠিন রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সংযোগ শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায় সহায়তা দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এর মধ্যে কারিগরি সহায়তা ও অর্থনৈতিক সহায়তাও রয়েছে।”

‘রিজিওনাল কোঅপারেশন ফর সাসটেইনেবল এনার্জি: নিউ আর্কিটেকচার ফর রিজিওনাল এনার্জি গভার্নেন্স’ শীর্ষক এই প্যানেল আলোচনায় ভারতের ক্লাইমেট এস্টিমেটস কমিটির চেয়ারপার্সন ও পার্লামেন্ট সদস্য ভিনসেন্ট পালা, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, নেপালের পার্লামেন্ট সদস্য মাধব শাপকতা, ভুটানের পার্লামেন্টারিয়ান কমিটি অন এনভাইরনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জের চেয়ারপার্সন গেম দর্জি এবং শ্রীলংকার পার্লামেন্ট সদস্য ইরান বিকরামারত্ন বক্তব্য রাখেন।

(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)