পরবর্তী ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) ঢাকায় হবে।
Published : 24 Nov 2023, 08:55 PM
দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ভারতের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক করেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার দিল্লির হায়দারাবাদ হাউজে ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি)’ অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। আর ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা।
দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বিত আলোচনার প্ল্যাটফর্ম এফওসিতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের চেষ্টা করা হয়।
ঢাকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং ২০২৩ সালে এক্ষেত্রে অগ্রগতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুই পররাষ্ট্র সচিব।
“সম্প্রতি দুদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নতুন প্রকল্পের উদ্বোধনের বিষয় উল্লেখ করে তারা বলেছেন, এ ধরনের সহযোগিতা শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃশ্যমান ফলাফলের প্রতিফলন।”
বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়, উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, আঞ্চলিক যোগাযোগ, আঞ্চলিক বিদ্যুৎ গ্রিড সংযোগ, নিরাপত্তা ও পানি এবং কনস্যুলার ও সংস্কৃতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহযোগিতা জোরদারের উপরও গুরুত্ব দিয়েছেন দুই পররাষ্ট্র সচিব।
“স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশকে ভারতের ‘বিশ্বস্ত প্রতিবেশী’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষার উপরও গুরুত্ব দিয়েছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় পক্ষ সীমান্ত ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে জনগণের সম্পর্ক এবং বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছে।
দুই দেশই উপ-আঞ্চলিক, আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক বিষয়েও মতবিনিময় করেছে বলেও দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে।
তিস্তা, সীমান্ত প্রসঙ্গ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কয়েকটি প্রধান বিষয় বৈঠকে তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এর মধ্যে রয়েছে- তিস্তা চুক্তি এবং অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করা, বাংলাদেশের রপ্তানি উপযোগী পণ্যের উপর থেকে বাণিজ্য বাধা অপসারণ এবং দুদেশের মধ্যে নিত্য পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ।
শান্তিপূর্ণ সীমান্তের জন্য দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে উভয়পক্ষই জোর দিয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
ঢাকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব।
অন্যদের মধ্যে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান এবং ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠকে অংশ নেন।
পরবর্তী ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে দুই বিজ্ঞপ্তিতেই।