বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে সংবাদ মাধ্যম: স্পিকার

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে সংবাদ মাধ্যম: স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2022, 02:50 PM
Updated : 20 Oct 2022, 02:50 PM

বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, স্থিতিশীলতার মতো বিষয়ে সংবাদমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, “দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক কিভাবে সবচেয়ে বেশি সুসংহত করা যায়, সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে গণমাধ্যম। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও সম্ভাবনার ক্ষেত্রে উভয় দেশের সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।”

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, “গণমাধ্যমের প্রসার অবশ্যই গণতন্ত্রকে সুসংহত করে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক দুই দেশের সমস্যা, সম্ভাবনা, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে, বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে পারস্পরিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী।

“বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও জোরদারকারণে বিশেষ করে দুই দেশের গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।”

যেকোনো সমস্যা আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমাধান করা সম্ভব উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, “আমাদের দু’দেশের স্থল নির্মাণ চুক্তি আমরা সমাধান করেছি, গঙ্গার পানি চুক্তি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অনন্য অর্জন। আশা করি, সামনের দিনে এটি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং উভয় দেশের অভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।”

অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গীতার্থ পাঠক বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন ইতিহাস ও সংস্কৃতি রয়েছে। দুই দেশ অনেক সমস্যার সমাধান করলেও পানি বণ্টনের মতো কিছু বিষয়ে এখনও তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না।

“ভাটির নদী প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলোর সমান পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে, কিন্তু তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না।”

তিনি বলেন, “আমাদের দুই দেশের সাংবাদিকদের মধ্যে ইন্টারেকশন কম। ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে আমি বাংলাদেশে কয়েকবার এসেছি। আমি এখানকার সাংবাদিক বন্ধুদের বলেছি, আপনারা আসুন আমরা ‍দুই দেশের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরি। আমাদের দেশের সাংবাদিকরাও ভারতকে নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যাগুলো তুলে ধরবে। “

তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে গীতার্থ পাঠক বলেন, “তিস্তা তো মূলত ওয়েস্ট বেঙ্গলের ব্যাপার। মমতাদি যে কোনো কারণে বা পলিটিক্যাল কারণে হোক, তিস্তার জলের ব্যাপারে একটু রিজিড।

“আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তিস্তার জল তো ওয়েস্ট বেঙ্গলের জল না। এটা বেসিক্যালি সিকিম থেকে আসে। আর সিকিমের জল আসে হিমালয় থেকে। সেটা নিয়ে যদি পলিটিক্স করে, তাহলে তো হয় না। এটা তো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামও বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীসহ সাংবাদিকরা।