খিলগাঁও থানা পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রফিকুল ইসলামকে (২২) গ্রেপ্তার করে বলে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান জানান।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় মো. জিয়াদ (২০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার রাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় নিজের বাসায় বিষপানে আত্মহত্যা করেন স্থানীয় ইস্ট পয়েন্ট স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী।
তার পরিবারের অভিযোগ, উত্ত্যক্ত ও শ্লীলতাহানির অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে মেয়েটি।
এ ঘটনায় ওই রাতেই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে তার পরিবার।
মেয়েটিকে উত্ত্যক্তের জন্য স্থানীয় যুবক শিমুল চন্দ্র মণ্ডল, তার বন্ধু সেন্টু চন্দ্র মণ্ডল, জয় গোপাল মণ্ডল, শিমুলের বাবা রঞ্জন চন্দ্র মণ্ডল ও মালতী রানী মণ্ডলকে আসামি করা হয়েছে।
খিলগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বলেন, “নিহতের মা শিমুল মণ্ডল নামের স্থানীয় এক বখাটের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তোলেন। জিয়াদ তার বন্ধু ও সহযোগী।
“ঘটনার দিন শিমুল যখন মেয়েটিকে শ্লীলতাহানি করছিল তখন জিয়াদও তাকে সহযোগিতা করছিল।”
ওসি মোস্তাফিজুর বলেন, “অন্য আসামিরা ভয়ে এলাকা ছেড়েছে। অবস্থান সনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঋতুর চাচা মো. ফয়েজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শিমুল ও তার বন্ধুরা আমার ভাতিজিকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। শনিবার তারা বাড়িতে ঢুকে তাকে গালাগালির পাশাপাশি শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এরপর তাদের উপস্থিতিতেই নিজ কক্ষে ঢুকে সে বিষ খায়।”