মিতা হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

ইডেন কলেজের ছাত্রী সাদিয়া নূর মিতা হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দ্রুত বিচার আদালত।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2013, 04:05 AM
Updated : 13 March 2013, 06:12 AM
এছাড়া চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বেকসুর খালাস পেয়েছেন দুজন।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন এ রায় দেন। জামিনে থাকা আসামিরা এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- মিতার দুই চাচাত ভাই খন্দকার হাসিবুর রহমান নিপুন (২৬) ও খন্দকার মামুন হাসান (২৮) এবং দুলাভাই মফিজ খন্দকার (৫২)।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহতের  চাচাত ভাই শামসুর রহমান (২৭), কাজী শাহ আলম তুষার (৩৫), চাচাত বোন ইশরাত জাহান শ্রবণী (১৮) এবং সামসুরের বন্ধু  শেখ নাজমুল (২৫)।

মামলার অপর আসামি আনোয়ার হোসেন মনিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় জসিমুল ইসলাম ও মাসুম বিল্লাহ নামের দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।

রায় ঘোষণার পর মিতার বাবা লিয়াকত আলী মোল্লা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “বিচার বিভাগের এই রায়ের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আশা করি তা কার্যকর হবে।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, দুই চাচাতো ভাই এবং দুই ফুফাতো ভাই সম্পত্তির লোভে ইডেন কলেজের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া নূর মিতাকে (২১) ধারাবাহিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়। এরপর ২০১০ সালের অগাস্টে মিতা ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের মিয়াপাড়ায় তাদের বাড়িতে গিয়ে রাতে ঘর থেকে অপহৃত হন। চাচাত বোন শ্রাবণী রাতের কোনো এক সময় ভেতর থেকে ঘরের দরজা খুলে দিলে আসামিরা মিতাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরদিন বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে মিতার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই মিতার বাবা অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়নাতদন্তে মিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়।

২০১১ সালের ১৬ আগস্ট গোপালগঞ্জের অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ গোলাম মুর্শেদ এ মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন।

গত বছর অক্টোবরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। সেখানে মিতার চাচাত বোন ইসরাত জাহান শ্রাবণী ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) কাজী মতিয়ার রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিতার বাবার সম্পত্তির লোভেই তাকে তার চাচাতো ও ফুপাতো ভাইবোনরা মিলে হত্যা করেছে।”