ভাষানটেক প্রকল্প: আরো সময় নিল গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়

ভাষানটেক প্রকল্পের বাকি কাজ সম্পন্ন করার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব দিতে আরো একমাস সময় নিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2011, 10:02 AM
Updated : 19 Oct 2017, 11:45 AM

বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভাষানটেক প্রকল্প সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পুণ্যব্রত চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, বৈঠকে ভাষানটেক পুর্নবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী বস্তিবাসীদের চিহ্নিত করে আগামী অক্টোবরের মধ্যে তাদের খালি ফ্ল্যাটগুলোতে ওঠানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। বস্তিবাসীদের চিহ্নিত করতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলারের সহযোগিতা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পে বর্তমানে প্রায় ছয়শ ফ্ল্যাট খালি রয়েছে বলে জানান পুণ্যব্রত চৌধুরী।

বৈঠকে উপস্থিত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জিল্লার রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ৪০ একরের এই বিশাল জায়গায় এতবড় প্রকল্পের প্রস্তাব তৈরি করতে একমাসের বেশি সময় লাগবে। আর এটি চূড়ান্ত করতে আরো বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে।

গত ৬ এপ্রিল ভাষানটেক প্রকল্প সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ কবে নাগাদ শুরু করা হবে তা আগামী এক মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছিল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে।

প্রায় ৪৮ একর প্রকল্প এলাকায় একশ ১১টি ভবন করার কথা রয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ পর্যন্ত ১৮টি ভবন তৈরি করা হয়েছে এবং বাকি ভবনগুলো ৪০ একর জমিতে গণপূর্তের অধীনে হবে বলে গত ১৩ জানুয়ারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ প্রকল্পে ১৩ হাজার দুশ ৪৮টি ফ্ল্যাট হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে তৈরি করা ১০টি ভবনে নয়শ ৩৮টি পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট দুহাজার একশ ৪৭ পরিবারকে এ প্রকল্পে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

২০০৩ সালে এ প্রকল্পের ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল বস্তিবাসীদের জন্য দুলাখ টাকা এবং নিম্নবিত্তদের জন্য তিন লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

১৯৯৮ সালে শুরু এ প্রকল্পের দায়িত্বে ছিল নর্থ সাউথ প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট। প্রকল্পে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় গত বছরের অক্টোবরে এ চুক্তি বাতিল করা হয়।

এরপর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে গত ২৭ জানুয়ারি এ প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবারের সভায় ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানসহ ভূমি ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।