জাপানি নারীর দুই মেয়েকে উদ্ধার করেছে সিআইডি

হাই কোর্টের নির্দেশের পর জাপানি নারী নাকানো এরিকোর দুই সন্তানকে স্বামীর তত্ত্বাবধান থেকে উদ্ধার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2021, 07:10 PM
Updated : 22 August 2021, 07:10 PM

রোববার সিআইডি এক বার্তায় জানিয়েছে, নাকানো এরিকো ও শরীফ ইমরান দম্পত্তির ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই শিশু কন্যাকে সোমবার আদালতে হাজির করা হবে।

তবে কোথা থেকে কখন তাদের উদ্ধার করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিসানুল হকও গণমাধ্যমকে দুই শিশু কন্যাকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন।

দুই সন্তানের অভিভাবকত্ব পেতে জাপানি নারী নাকানো এরিকো সম্প্রতি টোকিও থেকে বাংলাদেশে আসেন।

তিনি হাই কোর্টে দুই সন্তানদের অভিভাবকত্ব পেতে ও তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন।

বৃহস্পতিবার তার রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ দুই শিশু সন্তানকে আদালতে হাজিরে রুলসহ আদেশ দেয়।

শিশু দুটির বাবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরীফ ইমরান ও তার বোন আমিনা জেবিনকে ৩১ আগস্ট তাদের নিয়ে হাজির হতে বলেছে আদালত।

সেই সঙ্গে শরীফ ইমরান যাতে দুই মেয়েকে নিয়ে দেশত্যাগ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বলেছে আদালত।

আদালতে হাজিরার বিষয়টি গুলশান ও আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নিশ্চিত করতে বলা হয়।

রিট আবেদনের তথ্য মতে, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি আইন অনুযায়ী নাকানো এরিকো (৪৬) ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) বিয়ে করেন। গত ১৮ জানুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো।

এক যুগের দাম্পত্যজীবনে টোকিওতে তারা মেয়ের জন্ম দেন। তাদের বয়স যথাক্রমে ১১, ১০ ও ৭ বছর। তিন মেয়ে টোকিওর একটি স্কুলে পড়ছিল।

গত ২১ জানুয়ারি ইমরান টোকিওর ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার এক মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। তবে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ইমরানের আবেদন নাকচ করে।

পরবর্তীতে স্কুলবাসে করে বাড়ি ফেরার পথে বাসস্টপেজ থেকে ইমরান বড় দুই মেয়েকে অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইমরান মেয়েদের জন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেন। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করার পর গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি বলে রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়।