সাবেক সচিব মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দুদকের নতুন চেয়ারম্যান

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2021, 09:34 AM
Updated : 3 March 2021, 10:22 AM

মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহকে দুদকের নতুন চেয়ারম্যান করে বুধবার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হককে দুদকের কমিশনার করা হয়েছে।

মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দুদক চেয়ারম্যান পদে ইকবাল মাহমুদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। ইকবাল মাহমুদের মেয়াদ আগামী ১৩ মার্চ শেষ হচ্ছে। কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলামের মেয়াদও একই সময়ে শেষ হচ্ছে।

আর কমিশনের অপর সদস্য সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খানের মেয়াদ আছে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত।

আইন অনুযায়ী, তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে দুদক গঠিত হয়। কমিশনারদের মেয়াদ থাকে পাঁচ বছর। তাদের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়।

দুদকের নতুন চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত উন্নয়ন সংস্থা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউণ্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান।

১৯৫৯ সালে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করা আবদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮৩ সালে জনপ্রশাসনে যোগ দেন।

সরকারি চাকরিতে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুদক চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।

আর কমিশনার মো. জহুরুল হকের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা হবে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের সমরূপ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের দুই সদস্যের মেয়াদ ফুরিয়ে আসায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২৮ জানুয়ারি পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করে, যার নেতৃত্বে ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এই কমিটিকে দুদক কমিশনারের প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুইজন ব্যক্তির নামের তালিকা করে সুপারিশ পাঠাতে বলা হয়েছিল।