এদিন সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি গাছের চারা রোপণ করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন বলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন।
বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই কর্সসূচির উদ্বোধন করার পর এদিন প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে একটি করে ফলদ ও ঔষধি চারা রোপন করা হবে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারা দেশে এক কোটি গাছের চারা রোপণ শেষ করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এসব চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
“উপজেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে চারা বিতরণ করা হবে। কে কোথায় গাছ লাগাবেন এবং কারা এসব গাছের চারা পাবেন তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে সভায় ঠিক করা হয়েছে।”
দেশের প্রতিটি উপজেলায় ২০ হাজার ৩২৫টি করে বনজ, ফলদ ও ঔষধী গাছ বিতরণ করতে বন বিভাগের নার্সারীগুলোতে সেগুলো উৎপন্ন করা হয়েছে।
“প্রতিটি সংসদীয় আসনের বিপরীতে পাঁচ হাজার করে গাছের চারা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সংসদ সদস্যদের নির্দেশনা অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে রোপণের জন্য বিতরণ করা হবে।
“চারা লাগানোই শেষ নয়, …একটি চারাও যাতে নষ্ট না সেদিকে নজর রাখব। যে কর্তৃপক্ষ যত চারা লাগবে সেই কর্তৃপক্ষকে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
এবার বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে সাত কোটি গাছ রোপণ করা হবে বলে জানান পরিবেশ ও বনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সুস্থ্য জীবনের জন্য নির্মল বায়ু ও অক্সিজেন দান করে গাছ। এসব গাছ বড় হলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব জিয়াউল হাসান ছাড়াও মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।