তৃতীয় টার্মিনালে শাহজালাল বিমানবন্দর হবে এ অঞ্চলের সেরা: প্রতিমন্ত্রী

তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দরে পরিণত হবে বলে আশা করছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2019, 01:17 PM
Updated : 27 Dec 2019, 01:17 PM

শুক্রবার তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ উদ্বোধনের প্রস্তুতি ঘুরে দেখার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মাহবুব আলী বলেন, “আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল অত্যাধুনিকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এই টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে তা হবে এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর। আগামী ৪৮ মাসের মধ্যে এ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন। সেই সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের নতুন দুটি ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করবেন তিনি।

মূল টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে সুপরিসর এই তৃতীয় টার্মিনাল। এই ব্যয়ের মধ্যে ১১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দেবে জাইকা। বাংলাদেশ সরকার বাকি অর্থের যোগান দেবে।

পরিকল্পনায় তৃতীয় টার্মিনালে ২৪টি বোর্ডিং ব্রিজ নির্মাণের সুযোগ রাখা হলেও প্রথম ধাপে নির্মাণ করা হবে ১২টি। যানজট এড়াতে বিমানবন্দরের সংযোগ সড়কেও পরিবর্তন আনা হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে বিমানবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে সাবওয়ে।

এছাড়া ৪১ হাজার ২০০ বর্গমিটার আয়োতনের একটি নতুন কার্গো ভিলেজ ও ৫ হাজার ৯০০ বর্গমিটার আয়তনের ভিভিআইপি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।

জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন, ফুজিতা করপোরেশন ও স্যামসাং মিলে গঠিত এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি) এই নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানান, আগামী ৪৮ মাসের মধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তারা।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে আমাদের বেশ কিছু বাধা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহ, প্রচেষ্টা ও দিকনির্দেশনায় আমরা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এ জায়গায় এসেছি।” 

নতুন টার্মিনাল হলে বছরে ২ কোটি যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে জানিয়ে সচিব বলেন, “টার্মিনালটি এমন একটি মেকানিজমে নিয়ে আসা হচ্ছে, যাতে কেন্দ্রীয়ভাবে এর প্রতিটি কাজ মনিটরিং করা যাবে।”

নতুন টার্মিনাল হলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজের জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হবে বলেও জানান তিনি ।    

অন্যদের মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।