ইসমাইল হোসেন (৬০) নামে ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে অপহরণ করেছেন র্যাবের কমিউনিকেশনস এন্ড সিগনাল শাখার পরিচালক রাসেল আহম্মদ কবির।
তবে এই অভিযোগ নাকচ করেছেন এই র্যাব কর্মকর্তা।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মিরপুরের ব্যবসায়ী ইসমাইলের স্ত্রী নাসরিন জাহান স্মৃতি ও ছোট ভাই খায়রুল আলম।
নাসরিন বলেন, “র্যাব সদর দপ্তরের কমিউনিকেশনস এন্ড সিগনাল শাখার পরিচালক রাসেল আহম্মদ কবির র্যাবকে ব্যবহার করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার স্বামীকে অপহরণ করেছে। আমার স্বামী বেঁচে আছে কি না, কোথায় আছে সেটা আমরা জানতে চাই।।”
সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইল ও নাসরিনের দুই শিশু সন্তানও উপস্থিত ছিলেন।
নাসরিন বলেন, “আমার দুইটা শিশু সন্তান, রাতে বাবার জন্য তারা ঘুমাতে পারে না। বাবার অপেক্ষায় তারা সারারাত বাসায় দরজার সামনে বসে থাকে। আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।”
র্যাব কর্মকর্তার সঙ্গে বিরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, ৩৫ বছর আগে র্যাবের কর্মকর্তা রাসেল কবিরের বাবা কিশোরগঞ্জের বাজিরপুর থানার কুকরারাই গ্রামের তৎকালীন জাগদল নেতা ফয়েজ আহম্মেদ মিন্টু মিয়া খুনের ঘটনায় তর স্বামী ইসমাইল ১২ নম্বর আসামি ছিলেন, কিন্তু আদালতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।
“আমার স্বামী নিঁখোজ হওয়ার ৪/৫দিন আগে বলেছিল, সে লোক মারফত শুনেছে, র্যাবে রাসেল আহম্মদ কবির তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে চায়। এজন্য আমার স্বামী থানায় জিডিও করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই তিনি নিঁখোজ হলেন।”
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব কর্মকর্তা রাসেল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৩৫ বছর আগে আমার বয়স ছিল দুই বছর। তখন আমাদের সাথে কী হয়েছিল, সেটা আমরা পারিবারিকভাবেই ভুলে গেছি।
“তাই তার জের ধরে কাউকে অপহরণ করার প্রশ্নই আসে না। এসব অভিযোগ সত্য না।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তো তাদের আগে র্যাবে অভিযোগ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা সেটাও করেনি।”