মানুষ আইন না মানায় সড়কে শৃঙ্খলার সব চেষ্টা বিফলে: ডিএমপি কমিশনার

সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সবার আগে নগরবাসীকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে বলে মনে করছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2019, 11:23 AM
Updated : 17 March 2019, 11:27 AM

রোববার কারওয়ানবাজারে সোনারগাঁও হোটেলের কাছে রাস্তায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।  

মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, “সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও আইন না মানার প্রবণতার ফলে সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আইন না মানার সংস্কৃতি আমাদের বড় সমস্যা। সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে অনুরোধ করব, আপনারা আইন মানুন অন্যকে আইন মানতে উৎসাহিত করুন। 

“সবাইকে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে, ট্রাফিক আইন মানতে হবে। সকলের মাঝে আইন মানার মানসিকতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকলে সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব না।”

সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “আসুন আমরা সবাই ট্রাফিক আইন মানি, অপরকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করি। ট্রাফিক আইন প্রয়োগে পুলিশকে সহযোগিতা করুন।”

তিনি বলেন, “ট্রাফিক আইন না মানলে আমরা মামলা ও জরিমানা করছি। তবে মামলা বা জরিমানাই শেষ কথা নয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে।

“সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা ট্রাফিক আইন মানার জন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।’
ঢাকার পুলিশ কমিশনার জানান, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলো ছয়টি কোম্পানির মাধ্যমে চলবে। এর পদ্ধতি ও কৌশল কী হবে, তা নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

“এটি বাস্তবায়ন হলে সড়কে প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চালানোর প্রবনতা কমবে এবং দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। এই কার্যক্রমের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।”

আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত  ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ চলবে। উদ্বোধনের সময় গণপরিবহনের যাত্রীদের মাঝে ফুল ও ট্রাফিক সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। এ সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।