মতিউর রহমানের নেতৃত্বে নোয়াবের এই প্রতিনিধি দলে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ কয়েকজন সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন, যারা সংবাদপত্র শিল্পের জন্য সালমান রহমানের সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
মঙ্গলবারের এই বৈঠকে মাহফুজ আনাম বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার সালমান রহমানকে তাদের আগেকার তিক্ততার সম্পর্ক ভুলে যাওয়ার অনুরোধ করেন বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
“আমাদের মধ্যে অতীতে মতপার্থক্য ছিল,” মাহফুজ আনাম আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে এমনটাই বলেন জানিয়ে ওই সূত্র বলেছে, স্পষ্টতই বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে ডেইলি স্টারের অনেক বছর ধরে একের পর সংবাদ প্রকাশের কারণে কথাটি আসে মাহফুজ আনামের মুখে। “কিন্তু (আপনার প্রতি) কোনো বিদ্বেষ ছিল না,” তারপরই বলেন তিনি।
“সালমান রহমানের তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত উত্তর ছিল, ‘এ বিষয়ে বোধহয় দ্বিমত পোষণ করতেই আমরা একমত হব’,” বলেছে ওই সূত্র।
মতিউর রহমান ৯০ এর দশকে ভোরের কাগজের সম্পাদক থাকাকালেও বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে ডেইলি স্টারের মতোই বহু প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। পরে প্রথম আলো প্রকাশের পরও তা অব্যাহত থাকে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, একই দিনে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ও বাংলা দৈনিক প্রথম আলো উভয়ই বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে একই খবর ছাপিয়েছে।
গুলশানে বেক্মিমকো গ্রুপের কার্যালয়ে গিয়ে সালমান রহমানের সঙ্গে দেখা করে নোয়াবের প্রতিনিধি দলটি। তারা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান।
সালমান এই প্রথম এমপি হয়েই মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত, শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।
নোয়াব সভাপতি মতিউর রহমান নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলে মাহফুজ ছাড়াও ছিলেন সমকালের প্রকাশক ও এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, নিউ এইজের প্রকাশক শহিদুল্লাহ বাদল খান এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান।
নোয়াবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতকালে সংগঠনের নেতারা সংবাদপত্র শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা তুলে ধরেন। উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সমস্যাগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন।