বিদ্যালয়ের পথে শিশুর ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা

পাঁচ বছর আগে স্কুলভ্যান উল্টে পা ভাঙার পর অযান্ত্রিক এই বাহনে চড়া বন্ধ করে দেন ঢাকার মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সামিহা, কিন্তু এমন অনেক সমস্যা নিয়েই রাজধানীতে লাখ লাখ শিক্ষার্থী প্রতিদিন এভাবে বিদ্যালয়ের পথ ধরছে।

কাজী নাফিয়া রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2017, 03:30 AM
Updated : 10 July 2017, 08:50 AM

কর্মব্যস্ত ঢাকার জীবনে সন্তানকে স্কুলে নেওয়া-আনা সম্ভব না হওয়ায় অনেকেই আশ্রয় নেন এই পরিবহন সেবার। খুপড়ির মতো ভ্যানের শক্ত পাটাতনে বসে বাস-কারের ফাঁক গলে এগিয়ে চলার এই যাত্রায় শিশুর নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কায় থাকেন বাবা-মা, শিক্ষকরা। কিন্তু বিকল্প না থাকায় এ থেকে পরিত্রাণের পথও পাচ্ছেন না তারা।

স্কুল কর্তৃপক্ষ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিসি) এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীলরা বলছেন, অনুমোদনহীন এসব স্কুলভ্যান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু উদ্বিগ্ন হলেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেই তাদের কারও।

আর স্কুলবাস সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা না থাকার কথা জানিয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলছেন, “স্কুল বাসে কেউ চড়ে না। প্রাইভেটকার দিয়ে যাওয়া-আসা করে সবাই। স্কুল ছুটি হলে কেউ কি বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে? অন্য বাসে চলে যাবে।”

কর্তৃপক্ষের এই না করার সুযোগে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব স্কুল ঘিরেই গড়ে উঠেছে শিক্ষার্থী পরিবহনের রমরমা ব্যবসা। রাজধানীর সব এলাকাতেই লাগামহীনভাবে চলছে স্কুলভ্যান সার্ভিস।

এর মধ্যে ফার্মগেইটের হলিক্রস স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মগবাজার, গুলশান, মহাখালী, নাখালপাড়া, রাজাবাজার, মণিপুরীপাড়াসহ আশপাশের এলাকার শিক্ষার্থীরা দূরত্বভেদে ৬০০ থেকে চার হাজার টাকায় স্কুলভ্যানে যাতায়াত করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার উদয়ন স্কুল ও ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীদের কলাবাগান, হাতিরপুল, ধানমন্ডি, এলিফ্যান্ট রোড, বাংলামটর, আজিমপুর, নিউ মার্কেট এলাকায় এক-দুই হাজার টাকায় বহন করা হয়।

মিরপুরের মণিপুর উচ্চবিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১২ ও ১৪ নম্বরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের এক থেকে দুই হাজার টাকায় ভ্যানে আনা-নেওয়া হয়।

মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল, সরকারি বালক বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দক্ষিণ বনশ্রী, গোড়ান, কমলাপুর, শাজাহানপুর এলাকা থেকে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকায় যাতায়াত করে।

এর মধ্যে মিরপুর ১২ নম্বরে ‘স্কুল ভ্যান মালিক সমিতি’, মিরপুর-২ নম্বরে ‘মণিপুর ভ্যান চালক বহুমুখী সমবায় সমিতি’, মতিঝিলে ‘ঢাকা মহানগরী স্কুলভ্যান মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ গড়ে উঠেছে।

তবে সংগঠনগুলো কার্যকরিতা হারানোয় অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নেই বলে জানিয়েছেন মণিপুর ভ্যান চালক সমিতির কোষাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান

“এখন যে যার মত চলে, কারও কোনো দায়িত্ব আর সমিতির নেই,” বলেন তিনি।

অভিযোগ অনেক, তবুও ভ্যানেই ভরসা

বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় অভিভাবকরা বাধ্য হয়েই সন্তানের যাতায়াতের জন্য নির্ভর করছেন স্কুলভ্যানে। এই নির্ভরতা শিক্ষার্থীদের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তার দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন সামিহা রহমান।

পাঁচ বছর আগের ‘যন্ত্রণার স্মৃতি’ তুলে ধরে মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বলেন, “ক্লাস টুয়ে থাকতে কাজীপাড়ায় ভ্যান উল্টে আমার পা ভেঙে গিয়েছিল। তারপর থেকেই ভ্যানে যাতায়াত বন্ধ করে দেই। তখন স্কুল ছুটি হত ১২টায়, কিন্তু বাসায় যেতে ২টা বাজত।”

স্কুলভ্যানে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বহন, স্টিলের শক্ত আসন, বেপরোয়া চলাচল, নির্ধারিত স্থানের আগেই নামিয়ে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

হলিক্রস স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ফারিহা তাবাস্সুম বলেন, “শক্ত সিট, মগবাজার যেতে যেতে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। কিন্তু আব্বু-আম্মু ব্যস্ত, নিতে পারে না; তাই ভ্যানেই যাই।”

গোড়ানের আকরাম হোসেনের ছেলে পড়ে মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয়ে। তিনি বলেন, “গাদাগাদি করে বাচ্চাদের নেয়। এদের কোনো অনুমতি নেই, নেই কোনো অফিস। কিছু করলে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। কিন্তু উপায় কী? প্রতিদিন তো বাচ্চাকে নিয়ে আসতে পারব না।”

মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণি মিথিলা বলেন, “বৃষ্টি হলে খুব সমস্যা, ভ্যানে পর্দা না থাকায় ভিজে যাই।”

এসব ঝুঁকির কারণে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের প্রথম শ্রেণির প্রিয়ন্তী আরিয়াকে স্কুলভ্যানে দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান তার মা আসমুনা মোর্তজা।

মিরপুর-১২ নম্বরের এই বাসিন্দা বলেন, “স্কুলভ্যানে প্রায়ই সে ব্যথা পেত। বাসা দূরে হওয়ায় সবার শেষে নামত, চালক বেপরোয়াভাবে চালালে ভিতরে ছিটকেও পড়ত।

“অনেক সময় হঠাৎ না জানিয়েই চালক আসত না, তখন স্কুলে যাওয়াই হত না। এজন্য তাকে মাইক্রোবাসে পাঠাই, এটাও শতভাগ নিরাপদ না হলেও কিছুটা স্বস্তির।”

মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শেওড়াপাড়া শাখার তৃতীয় শ্রেণির জারিফের মা লুনা আক্তারের বড় ছেলেও স্কুলটির সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেই সন্তানদের স্কুলে আনা-নেওয়া করেন তিনি।

“ভ্যানগুলো খুব ঝুঁকিপূর্ণ। ছোট টিনের ভ্যানে বাচ্চাদের হেলান দেওয়ার জায়গাও থাকে না। বেশি স্টুডেন্ট নিয়ে ড্রাইভার চালাতে না পারলে বাচ্চাদের ঠেলতে হয়। এই ছোট গাড়িগুলো মেইন রোডেও চলে, যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।”

এভাবেই চালাতে চান মালিকরা

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নানা অভিযোগ করলেও সেদিকে মনোযোগ দিতে চান না স্কুলভ্যানের মালিকরা।

আসন সমস্যার বিষয়ে ফার্মগেইটের কাজল পরিবহনের মালিক কাজল মিয়া বলেন, “বাচ্চারা সিট কেটে ফেলে। তাই স্টিলের উপর কভার দেই না।”

ওই এলাকার রবিউল পরিবহনের মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, “আটজন বাচ্চা যায়। আমরা ওগো বাপ-মার দায়িত্ব পালন করি। দেরি করলে খবর লই, ভুলে কিছু রাইখা আইলে আইনা দেই।”

মতিঝিলের মুক্তা পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, “গার্জিয়ানরা প্রথমে একটু টেনশন করে, বাচ্চারাও ভয় পায়। কিন্তু কয়দিন গেলেই ঠিক হয়ে যায়, আমাদের তো কোনো সমস্যা নেই।”

মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের রেজা পরিবহনের মালিক রেজা বলেন, “আমরা সময় মতোই বাচ্চাদের আনা-নেওয়া করি। সাবধানেই চালাই, তাদের দেখেও রাখি।”

তবে ভিন্ন কথা বলছেন উদয়ন স্কুলের হাসান রায়হান পরিবহনের হারুনুর রশীদ: “অভিভাবকরা নিরাপত্তা চায়, আমার বাচ্চা হলেও চিন্তা করতাম। তাই আমরা ভোটার আইডি কার্ড, ছবি, ঠিকানাসহ ডিটেইল তাদের দেই; বাকিটা বিশ্বাস। স্কুল চাইলেও আমরা ডিটেইল জমা দিয়ে অনুমতি নিতাম।”

উদ্বিগ্ন শিক্ষকরাও

এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলভ্যানে যাতায়াতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত শিক্ষকরাও।

হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক রোকসানা বানু বলেন, তাদের স্কুলের কোনো ভ্যান সার্ভিস নেই। যেগুলো চলে সেগুলো প্রাইভেট সার্ভিস।

অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায় ছয় বছর আগে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের নিজস্ব ভ্যান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠানটির বিলুপ্ত স্কুলভ্যান সার্ভিসের পরিচালক শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৯০ সাল থেকে দুই শাখায় ৬০ থেকে ৭০টি ভ্যান ও কয়েকটি টেম্পু চলত শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে।

“বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটত, ড্রাইভাররা সময়মতো শিক্ষার্থীদের আনত না, আগেই নামিয়ে দিত, বাইরের যাত্রী নিত, নিরাপত্তা সমস্যাও ছিল। এসব কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়।”

এখন ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত ভ্যানে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক ছালাম খান।

“কয়েক বছর আগে স্কুল বাস দুর্ঘটনায় এক অভিভাবক মারা গিয়েছিলেন, পরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।

“এখন কয়েকজন অভিভাবক ও বাইরের লোক বেশ ব্যবসা করছেন। আমরা আতঙ্কিত, কখন কী হয়। মাঝে মাঝে খবর আসে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ব্যথা পাচ্ছে, অনেক অঘটন ঘটছে, ড্রাইভাররা বাচ্চাদের সাথে বাজে আচরণ করছে।”

স্কুলভ্যানের কারণে শিক্ষার্থীদের ‘নৈতিক অবক্ষয়’ হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।

স্কুলগুলোতে নিজস্ব পরিবহন চালু করতে মাউশিতে একবার বৈঠক হয়েছিল বলে জানান মতিঝিল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমুন নাহার শাহীন।

“বছর দুয়েক আগে আলোচনার জন্য ডেকেছিল আমাদের। এরপর আর কিছু হয়নি। সরকারের নির্দেশনা না থাকলে কোনো সরকারি স্কুলই নিজস্ব পরিবহন চালু করতে পারবে না।”

সাম্প্রতিক স্কুলভ্যান দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কষ্টকর। এসবে যাতায়াত খুবই কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। বাইরের লোকজন এসব চালাচ্ছে, আমাদের এতে সম্পৃক্ততা নেই।”

ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষিকা সুফিয়া খাতুনও সড়কে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, “ভাঙাচুরা এসব গাড়িতে চড়া বাচ্চাদের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও ব্যবস্থা করা সম্ভব না, সরকার সহায়তা করলে একটা সমাধান হতে পারে।

“সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বছর তিনেক আগে আমাদের বাস সার্ভিসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। হয়ত কোনো কারণে তার পক্ষে সেটি করা সম্ভব হয় নাই।”

এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য জানতে দুইদিন যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উদ্বেগ আছে, উদ্যোগ নেই

স্কুলের ভ্যানের বিষয়ে উদ্বেগ থাকলেও বিষয়টি নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর।

মাউশির মহাপরিচালক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “এই অযান্ত্রিক যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এরপরও অভিভাবকরা সন্তানদের ভ্যানে দিচ্ছে, এটাই বাস্তবতা।

“আমাদেরও পরিবহন চালুর পরিকল্পনা নেই। এখন চালকের সতর্কতাই বড় বিষয়, সবাইকে সচেতন হতে হবে।”

ঢাকায় স্কুলভ্যান চলাচলের অনুমোদন নেই জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বেলাল বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষদের সন্তানকে স্কুলে নেওয়া-আনার সুবিধার কারণে তারা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন না।

তিনি বলেন, “অনেক জায়গায় অন্য গাড়িও ঢোকে না। আবার অভিভাবকরা চাকরি করায় বাচ্চাদের নেওয়ার সময় পান না। সেক্ষেত্রে স্কুলভ্যানগুলোকে উপেক্ষাও করা যায় না।

“কিন্তু ব্যস্ত শহরে এমন অযান্ত্রিক যানবাহন অতটা নিরাপদ নয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের এটা ভাবতে হবে। তারা সহায়তা চাইলে আমরা দিব।”

স্কুলভ্যানের মতো অযান্ত্রিক যানবাহন নিবন্ধনের দায়িত্বে রয়েছে সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগ। ১৯৮৭ সালের পর রাজধানীতে কোনো অযান্ত্রিক যানবাহন নিবন্ধন দেয়নি তারা।

ফলে স্কুলভ্যানের বিষয়ে ‘কোনো তথ্য নেই’ জানিয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া বলেন, “এগুলো নিবন্ধন ছাড়াই চলছে। এসবকে নজরদারিতে আনার পরিকল্পনা আছে।”

২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি বিআরটিসির ১৪টি স্কুলবাস সার্ভিস চালু হলেও বর্তমানে শুধু মিরপুর থেকে আজিমপুর ও মতিঝিলে দুটি স্কুলবাস চলছে।

এখন নতুন করে স্কুলবাস সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা নেই জানিয়ে বিআরটিসি'র চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, “স্কুল বাসে কেউ চড়ে না। প্রাইভেটকার দিয়ে যাওয়া-আসা করে সবাই। স্কুল ছুটি হলে কেউ কি বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে? অন্য বাসে চলে যাবে।”