রাজধানীর সড়কে উল্টোপথে চলে মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবককে চাপা দেওয়ার আটক বিচারপতির গাড়িচালককে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।
Published : 03 Jul 2017, 11:38 PM
দুই পক্ষের মীমাংসা হওয়ায় কামাল হোসেন নামে ওই গাড়িচালককে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান সোমবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
রোববার সন্ধ্যায় রূপসী বাংলা হোটেল মোড়ে নিয়ম ভেঙে উল্টোপথে চলে জাবিন ফয়সল নামে ওই যুবককে চাপা দিয়েছিলেন কামাল।
হাই কোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করার সময় থেকে ওই গাড়ি ব্যবহার করে আসছেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না।
ঘটনার পরপরই গাড়িচালক কামালকে ধরে থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ।
রমনা থানার ওসি মশিউর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই পক্ষের মীমাংসা হয়েছে যে আহত যুবকের চিকিৎসা খরচ বহন করা হবে। তাই থানায় কোনো মামলা হয়নি।”
হাই কোর্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আহত ফয়সালের বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আহতের চিকিৎসার খোঁজও নিচ্ছেন তিনি।
ট্রাইব্যুনালের গাড়িচালক কামালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও ওসি মশিউর জানান।
কর্তব্যকাজে অবহেলার কারণে কামালের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তিন দিনের মধ্যে তার জবাব দিতে তাকে সোমবারই নোটিস পাঠান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম ঝিনুক।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কামাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গাড়িচালক। তিনি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেষণে কর্মরত। এই সূত্রে তিনি ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত।
কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানোর বিষয়ে ঝিনুক বলেন, “বিচারপতি মহোদয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এ গাড়িচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ নোটিস জারি করা হয়েছে।”
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ট্রাইব্যুনাল থেকে হাই কোর্ট বিভাগে ফিরে গেলেও গাড়িটি ব্যবহারের কারণ ব্যাখ্যা করে নোটিসে বলা হয়, “জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নিরাপত্তা সুবিধাসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদির আওতায় গাড়িচালক মো. কামাল হোসেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গাড়িচালক, যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেষণে কর্মরত হিসিবে বিচারপতির গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত।”