বুধবার বেলা ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এই বৈঠক শুরু হয়, চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা।
আমন্ত্রণ পাওয়া চার বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে সাবেক সিইসি মোহাম্মদ আবু হেনা সবার আগে বৈঠকস্থলে পৌঁছান। এরপর পর্যায়ক্রমে আসেন সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সার্চ কমিটির সদস্য হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহা হিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতারও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এই জাজেস লাউঞ্জেই গত সোমবার ১২ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বসে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে তাদের মতামত নেয় সার্চ কমিটি।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দক্ষ, সৎ, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করার জন্য রাষ্ট্রপাতির গঠিত সার্চ কমিটিকে পরামর্শ দেন তারা।
ওইদিনই আরও পাঁচজনকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অর্থ আত্মসাতের মামলার আসামি হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর আমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রশীদের নাম বাদ দেয় সার্চ কমিটি।
তবে এই ২০ জনের মধ্যে কারা আছেন, সে তথ্য প্রকাশ করেনি সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, আরও যাচাই-বাছাইয়ের পর ২০ জনের তালিকা থেকে দশজনকে চূড়ান্ত করবে সার্চ কমিটি। সেই দশজনের নাম ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তাব করা হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
সার্চ কমিটির ওই সুপারিশের মধ্যে থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যূন পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দায়িত্ব নেবে নতুন কমিশন। তাদের অধীনেই ২০১৯ সালের শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।