লিউকেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

প্রদর্শনী চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2022, 06:39 PM
Updated : 20 Nov 2022, 06:39 PM

লিউকেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের জীবন, বোধ, চিন্তা বিষয়ে আলোকচিত্র নিয়ে মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন ‘অঙ্কুর’ শীর্ষক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে; ফারহানা সেতুর ধারণ করা আলোকচিত্রে এর আয়োজন করা হয়।

রোববার রাজধানীর বনানীতে এশিয়াটিক সেন্টারের ‘বাতিঘরে’ শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে; প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

আক্রান্ত শিশুদের প্রতি সহমর্মিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সচেতনতা তৈরি এই প্রদর্শনীর লক্ষ্য বলে আয়োজকরা জানান।

আয়োজকদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ শিশু রক্ত বা অস্থিমজ্জার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়; যার মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ শিশু সুস্থতা অর্জন করতে পারে। আক্রান্ত শিশুদের স্বপ্ন ও দর্শনের প্রতিচ্ছবি প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন আলোকচিত্রী।

“শিশুদের কষ্ট বা অবহেলার ব্যাপারে আমরা অনেকেই বোধগম্য নই কিংবা সচেতন নই। ফটো সাংবাদিক ও ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার ফারহানা সেতু শিশুদের মনের অন্তস্থলে রেখে দেওয়া লালিত এবং চাপা স্বপ্ন আমাদের সম্মুখে হাজির করেছেন। যেখানে বাচ্চারা মনে মনে নিজেদের ধারণ করে অন্য একটি মাত্রায়।"

এতে আরও বলা হয়, ফারহানা সেতুর এই আলোকচিত্রগুলো বাচ্চাদের দুর্দশা কিংবা দুঃখ দেখায় না। বরং দেখায় কিছু নরম মনের প্রতিফলন। যা হয়ত এতদিন সেই শিশুটি ছাড়া অন্য কেউ জানতে পারেনি।”

এ বিষয়ে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল সাংস্কৃতিক ও মানবহিতৈষী বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা কিছু কাজ করার চেষ্টা করছি। এই প্রদর্শনী তার মধ্যে অন্যতম।

“আলী যাকের এক দিকে বিজ্ঞাপন জগতের একজন দিকপাল ছিলেন। অন্যদিকে নাটকের জগতেও তিনি একজন পথপ্রদর্শক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে দর্শনীর বিনিময়ে নাট্যপ্রদর্শন আলী যাকেরের হাত ধরেই শুরু হয়। গাড়ি নিয়ে গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে বেড়ানো এবং বুনো ফুলের ছবি তুলা ছিল তার নেশা। আমি অন্তত তাকে নানাভাবে দেখেছি। এসবের ভেতর থেকে যে মানুষটা সবচেয়ে বড় হয়ে ওঠে, তা হলো একজন মুক্তিযোদ্ধা আলী যাকের। এই দেশ এবং দেশের মানুষকে তিনি খুব ভালোবাসতেন। তিনি সব সময় তার সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে থেকে মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন।”

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইরেশ যাকের বলেন, বাতিঘরে উন্মুক্ত গ্যালারি বানানোর পেছনে আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, সেটা হলো- বাংলাদেশ কিংবা ঢাকা শহরে এখন নতুন এবং সম্ভাবনাময় শিল্পী, যেমন আলোকচিত্রী বা ভাস্করদের স্বল্প বা বিনা খরচে নিজেদের কাজ সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ নেই। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে অনেক কিছুই ভার্চুয়াল জগতে হচ্ছে, তারপরও শিল্প প্রত্যেকের জন্য স্শরীরে এসে দেখাটাই জরুরি।

“বাতিঘরের মাধ্যমে তরুণ এবং প্রতিভাবান শিল্পীদের জন্য এমন সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। সে লক্ষ্যেই আমরা অঙ্কুরের আয়োজন করেছি। এটাই শেষ নয়, আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে বাতিঘর এবং বাতিঘরের বাইরে তরুণ ও প্রতিভাবান শিল্পীদের দক্ষতা প্রকাশে আরও কিছু প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারব।”