বগুড়া সদরের কৈপড়ার হরিবাসর অনুষ্ঠানে ভোট চান হিরো আলম।

)<div class="paragraphs"><p>বগুড়া সদরের কৈপড়ার হরিবাসর অনুষ্ঠানে ভোট চান হিরো আলম।</p></div>
সমগ্র বাংলাদেশ

ভোটের আগে ভালোবাসা দিতে পারব, অন্য কিছু নয়: হিরো আলম

Byজিয়া শাহীন

দেশে নির্বাচনের আগে উপঢৌকন দেওয়ার যে ‘সংস্কৃতি’ চালু আছে, সেই পথে না হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন সোশাল মিডিয়ার আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার পর বগুড়া উপ নির্বাচনের প্রচারে নেমে তিনি বলেছেন, “আমি ভালোবাসা এবং কাজ দিতে পারব। কিন্তু ওই যে ভোটের আগে ভোটারদের যা দেয়- তা দিতে পারব না।”

একতারা প্রতীক নিয়ে দিনভর প্রচারণা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এমনটিই বলছিলেন বগুড়া ৪ ও বগুড়া ৬ উপ নির্বাচনের এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

ভোটের প্রচারে মাঠ গরম করে দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

এ দুটি আসনে তার মনোনয়নপত্র বাতিলের যে সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তারা দিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডও তা বহাল রাখে। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই হিরো আলম হাই কোর্টে গিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার সেই রিট মামলার শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দেন আদালত। বুধবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে প্রতীক হিসেবে ‘একতারা’ নিয়ে পরদিন প্রচারণার ব্যস্ত সময় কাটান হিরো আলম।

প্রচারণার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বললেন, “বগুড়া ৪ নির্বাচনী এলাকায় কাহালু উপজেলা সদর এবং আশেপাশের এলাকা এবং বগুড়া ৬ আসনের নামুজাসহ অন্যান্য এলাকায় গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ শেষে রাত ৭টায় বগুড়া পৌর এলাকার কৈপাড়ায় নির্বাচনী জনসভা করলাম।

“প্রচারণার সময় অনেকেই বলেছেন- ‘এবার আপনাকে ভোট দিব’ এবং পরামর্শও দিয়েছেন। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তারপরেও ভোটার কিন্তু ভালো না, কিছু পেলেই চলে যায় অন্য পক্ষে।” 

অনেক প্রার্থীর মাইক বেরিয়েছে, পোস্টার চোখে পড়ছে; সেসবে হিরো আলম পিছিয়ে পড়েছেন। মনোনয়নপত্রের বৈধতার প্রশ্নে লড়াই করতে গিয়ে প্রচারণায় পিছিয়ে পড়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মিডিয়াই আমার প্রচার, পোস্টার, লিফলেট। ইউটিউবে যখন আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলি- কত লাইক, ভিউ এবং আমার সাক্ষাৎকার যখন টেলিভিশন, অনলাইন মিডিয়া, পত্রিকা নিয়ে তাদের মিডিয়ায় ছাড়ছে কত লাইক ভিউ জানেন।

“প্রচারে প্রসার। প্রচারে আমিই এগিয়ে। আমার প্রচার বলেন কিংবা পোস্টার, মাইক বলেন- তা মিডিয়া। এবং জনগণ আমার ভরসা। একতারা প্রতীকের গান রেডি এবং প্রচারের জন্য চলচ্চিত্র শিল্পীরাও রেডি। ভোটের প্রচারে মাঠ গরম করে দিব।”

রাত সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়া সদরের কৈপড়ার হরিবাসর অনুষ্ঠানে যান। সেখানে তিনি বলেন, “আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। যখনই ডাকবেন, আমি আসব। আমি সবার- হিন্দু, মুসলিমসহ সব ধর্মের।” 

এসময় অন্যদের মধ্যে হরিবাসর কমিটির সভাপতি প্রভাত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক স্বপন সরকার উপস্থিত ছিলেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় হিরো আলম বলেন, “আমি বিনোদন এবং রাজনীতি- একই সাথে চালিয়ে যাব। বাংলাদেশে অনেক উদাহরণ আছে, সেই উদাহরণের একজন আমি। হারলেও কিংবা জিতলেও আমি জনগণের সাথে থাকব। এটাই আমার রাজনীতি।

“আমি অনেক প্রার্থীর মত বলব না- আমি এটা করব, ওটা করব। ভোটের পরে তারা থাকে না। আমি থাকি। নির্বাচিত হলে বগুড়ার সাংস্কৃতিক জগতে আশার আলো দেখাব। বগুড়া রেললাইন, ইকনোমিক জোন, বিমানবন্দর- এসব বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিব।”

আরও পড়ুন:

SCROLL FOR NEXT