এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতিফ জেলার আল কাদেহ গ্রামের ইমাম আলী মসজিদে শুক্রবার দুপুরে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে।
তিনি জানান, সে সময় মসজিদে অন্তত দেড়শ মানুষ জুমার নামাজ পড়ছিলেন।
হাসপাতালের এক কর্মকর্তা টেলিফোনে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলায় ২১ জন নিহত হয়েছে।
এছাড়া হামলায় ৯০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
লেবাননের হিজবুল্লাহ আল-মানার টেলিভিশনের প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, মসজিদের ভেতরে হেলে পড়া খুঁটির সঙ্গে ভাঙা কাচ ও কংক্রিটের টুকরো পড়ে আছে। মেঝেতে সারি বেঁধে রাখা হয়েছে কয়েকটি মৃতদেহ।
ওই মসজিদে উপস্থিত কামাল জাফর হাসান রয়টার্সকে বলেন, “নামাজের প্রথম রাকাত চলার মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে।”
ইরাক ও সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বড় একটি এলাকা দখলে নিয়ে খিলাফত ঘোষণা করা ইসলামিক স্টেট (আইএস) এক বিবৃতিতে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মনিটরিং গ্রুপ এসআইটিই এক টুইটে জানিয়েছে।
আইএস জঙ্গিরা এর আগে একাধিকবার সৌদি আরবে হামলার হুমকি দিয়েছে। সুন্নি মতাদর্শের সৌদি রাজ পরিবার আইএসের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে আসছে।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শুক্রবারের এ হামলাকে সন্ত্রাসী তৎপরতা আখ্যা দিয়েছেন। হামলাকারী পোশাকের নিচে লুকিয়ে রাখা আত্মঘাতী বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানান তিনি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করবে না।”
সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন আরব জোট পাশের দেশ ইয়েমেনে যখন শিয়া বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে, ঠিক তখনই এই আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটল। এতে করে উপসাগরীয় অঞ্চলে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এই দেশটির সংখ্যালঘু শিয়াদের একটি বড় অংশের বসবাস পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের কাতিফ ও আল-আশা জেলায়। এ দুটি জেলার শিয়াদের বিভিন্ন সময়ে অধিকারের দাবিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভও দেখা গেছে। তবে সেখানে কোনো শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনা এই প্রথম।