ঘৃণা ছড়ানোয় পাকিস্তানে ইমামের পাঁচ বছরের জেল

ধর্মীয় শত্রুতায় ইন্ধন যুগিয়ে ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে পাকিস্তানে এক সুন্নি ইমামকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে লাহোরের একটি আদালত।

বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ইমাম ক্বারি আবু বকর ওয়াজ করার সময় সংখ্যালঘু শিয়াদের ‘কাফের’ আখ্যা দেওয়ায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

লাহোরের কাছের জেলা কাসুরের কোট রাধা কৃষাণ এলাকায় ওই ওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

পাকিস্তানি এক কর্মকর্তা বলেছেন, “শিয়াদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে ওই ইমাম দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তার ওয়াজের সময় শিয়াদের কাফের আখ্যায়িত করে শ্লোগানও দেয়া হয়েছে।”

রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন দণ্ডিত ইমাম।

একই ধরনের অপরাধে গত দুই মাসে লাহোরে আরো অন্তত ছয়জন ইমামকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে সম্প্রতি যে সব ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সবাইকে সন্ত্রাস বিরোধী ন্যাশনাল অ্যাকশন প্লানের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতের কর্মকর্তা মামলা পরিচালনাকারী বিচারকদের নাম প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন।

সন্ত্রাস-বিরোধী আদালতে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার না থাকায় আদালতের দেয়া রায় প্রায়ই খবর হয় না বলে জানিয়েছেন বিবিসির ইসলামাবাদ প্রতিনিধি।

ধর্মীয় উত্তেজনা উস্কে দেয়া পাকিস্তানে বেআইনি হলেও বিষয়টি নিয়ে খুব কম অভিযোগ করা হয়, শাস্তিও হয় কম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

গত ১৬ ডিসেম্বরে পেশোয়ারের একটি স্কুলে জঙ্গি হামলায় ১৫০ জনেরও বেশি নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানে সন্ত্রাস-বিরোধী আইন কঠোর করা হয়েছে।