রামাদির কাছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলা রুখে দেয়ার দাবি করেছে ইরাকি বাহিনী।
Published : 20 May 2015, 07:02 PM
রোববার ইরাকের আনবার প্রদেশের রাজধানী রামাদি দখল করে আইএস জঙ্গিরা। শহরটির পুনর্দখল করতে ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়াদের সহায়তায় ইরাকের সেনাবাহিনী পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে যোদ্ধারা রামাদির কাছের সামরিক ঘাঁটি হাব্বানিয়াতে জড় হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে রামাদি ও হাব্বানিয়া ঘাঁটির মধ্যবর্তী জায়গা হুসাইবা আল-শারকিয়া শহরে সরকারি বাহিনীর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় আইএস যোদ্ধারা।
ওই এলাকার সরকারপন্থি সুন্নি আদিবাসী বাহিনী প্রধান আমির আল-ফাহদাউই রয়টার্সকে বলেন, “মাঝরাতের দিকে আইএস যোদ্ধারা আমাদের উপর হামলা চালায়। শুরুতে তারা আমাদের অবস্থান লক্ষ্য করে কয়েক দফা মটার শেল ছোঁড়ে।”
“এরপর তারা অন্যদিক থেকে এগিয়ে আসে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালানো। কিন্তু আমরাও সজাগ ছিলাম। প্রায় চার ঘণ্টা যুদ্ধের পর আমরা তাদের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হই।”
ওদিকে, রামাদির স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে যোগদান করে রামাদি পুনরুদ্ধার যুদ্ধে অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিপক্ষকে রুখতে আইএস যোদ্ধারও প্রস্তুত হয়ে আছে। রামাদি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইরাকের সরকারি বাহিনী বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্ক ও কামান ফেলে গিয়েছিল যেগুলো আইএস’র হাতে পড়েছে। এছাড়া, স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা ভূমিমাইনও পোঁতা শুরু করেছে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ইরাকি বাহিনীর রামাদি পুনরুদ্ধার যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী তাদের সমর্থনে বিমান হামলা চালাবে।
তবে শিয়া মিলিশিয়াদের রামাদি পুনরুদ্ধার যুদ্ধে অংশ নেয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদির শিয়া মিলিশিয়াদের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ার প্রবণতাও যুক্তরাষ্ট্রকে ভাবাচ্ছে। কারণ এ থেকে দেশটিতে আবারও শিয়া-সুন্নি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আইএস’র রামাদি দখল যুদ্ধে প্রায় পাঁচশ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া, আরও প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।