বৃহস্পতিবার আদালতে দোষ স্বীকারের পর তাকে এসব দণ্ডাদেশ দেয় নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
বিধিবহির্ভূতভাবে তথ্য সরানো ও তা মৌখিকভাবে ফাঁস করার জন্য আনীত মামলার অভিযোগ স্বীকার করে নেন তিনি।
নিজের প্রেমিকাকে রাষ্ট্রিয় ওই সব তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ওই প্রেমিকা তখন পেত্রাউসের জীবনী লিখছিলেন।
পেত্রাউসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে নির্ধারিত সর্বোচ্চ জরিমানার পরিামাণ আইনে ৪০ হাজার ডলারের সুপারিশ করা ছিল, কিন্তু বিচারক ডেভিড কিসলার পেত্রাউসের জরিমানা বাড়িয়ে ১০ লাখ ডলার নির্ধারণ করেন।
অপরাধের বিপর্যয়ের মাত্রা অনুধাবন করতে দণ্ডমূলক জরিমানা বাড়ানো দরকার ছিল বলে উল্লেখ করেছেন বিচারক।
এই মামলার রায় হওয়ার মাধ্যমে ৬২ বছর বয়সী পেত্রাউসের জীবনের বিব্রতকর এক অধ্যায়ের সমাপ্তি হল। আদালতে দাখিল করা অভিযোগে পেত্রাউসকে তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা সামরিক নেতা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ডক্টরেট বিদ্রোহ-দমন বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ। ইরাক ও আফগানিস্তানের লড়াইয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
আদালতে আনা অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালে সিআইএ’র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার ঠিক আগে পেত্রাউস তার জীবনীকার ও প্রেমিকা পাওলা ব্রডওয়েলকে অবৈধভাবে দাপ্তরিক নথিপত্র দেখতে দেন।
“ব্ল্যাক বুকস” নামের এসব নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন অভিযানে রত কর্মকর্তাদের পরিচিতি, যুদ্ধে ব্যবহৃত কোড শব্দের তথ্য, যুদ্ধ কৌশল, গোয়েন্দা তথ্য, কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা, হোয়াইট হাউসের শীর্ষ পর্যায়ের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকের তথ্য ছিল।
২০১২ সালে নিজের জীবনীকার সেনাবাহিনীর রিজার্ভ কর্মকর্তা ব্রডওয়েলের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর পেত্রাউস সিআইএ প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পেত্রাউসকে এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভাইস প্রেসিডেন্ট বা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হত।