ক্যাফেকর্মীর চুল টেনে বিপাকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরে একটি ক্যাফের এক নারীকর্মীর চুল টেনে বিপাকে পড়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2015, 09:01 AM
Updated : 22 April 2015, 09:12 AM

ওই নারীর অভিযোগের মুখে ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কি। এ জন্যে তার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে। 

অনামা ওই ক্যাফেকর্মী একটি ব্লগে অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী কি তার পনিটেল (পেছন দিকে টেনে ব্যান্ড দিয়ে বাঁধা চুলের গোছা) ধরে টান দিয়েছেন। একবার দুবার নয়, বিভিন্ন সময়ই একাজ করেছেন তিনি। এমন কী এটি না করার অনুরোধ জানানোর পরও তিনি তা করে গেছেন। 

এই ব্লগ পোস্টের পরপরই নিউজিল্যান্ডের বিরোধীদল ও জনগণ সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। 
এরপর বুধবার প্রধানমন্ত্রী কি’র দপ্তর থেকে জানানো হয়, তার এ ধরনের কাজ “চটুলতা” থেকে করা এবং এর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ডেইলি ব্লগ নামের  ব্লগে ওই নারীকর্মী লিখেছেন, গেল নভেম্বরের নির্বাচনের আগ থেকে এই ‘চুলটানা’ শুরু হয়। ওই নির্বাচনে কি’র ন্যাশনাল পার্টি পুনর্নির্বাচিত হয়। 
এরপর থেকে কি ওই ক্যাফেতে এলে তিনি (ওই নারীকর্মী) তাকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। তিনি কি’র নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের এও জানান, চুল ধরে টানা তার পছন্দ নয়। 
চলতি বছরের মার্চে ব্যক্তিগতভাবে তিনি চুল না টানার জন্য কি’কে অনুরোধ করেন। কিন্তু কি থামেননি, চুল টানা চালিয়ে যান। 
পরে তিনি ক্ষমা প্র্রার্থনা করে ওই নারীকর্মীকে ব্যক্তিগতভাবে দুটি ওয়াইনের বোতল পাঠান। 
কি’র দপ্তর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তার এ ধরনের আচরণ চটুল-হৃদয়ের কাজ। ওই নারীকে বিরক্ত করার কোনো উদ্দেশ্যে তার ছিল না। তিনি তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।” 
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কি বলেছেন, ক্যাফের ওই নারীকর্মীর সঙ্গে তার “খুব উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে”। ওই ক্যাফেতে তারা একসঙ্গে অনেক “মজার ও আনন্দের সময় কাটিয়েছেন, সেখানে অনেক ধরনের প্র্যাকটিক্যাল জোকস্ ও বিষয়” ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। 
প্রধানমন্ত্রীর এ আচরণ নিয়ে নিউজিল্যান্ডজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ঘটনার নিন্দায় ট্যুইটারে হ্যাশট্যাগ দিয়ে #টেইলগেট. ও #পনিটেইলগেট. লেখা হচ্ছে।