এ বিপর্যয় সামাল দিতে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন ইউরোপের শীর্ষ নেতারা। বিষয়টি নিয়ে সোমবার লুক্সেমবার্গে একটি বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইইউ এর বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মঘারিনি।
স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাতে ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের দক্ষিণে লিবিয়ার জলসীমায় জাহাজটি ডুবে যায়।
ঘটনার পরপরই বড় ধরনের উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালীয় কোস্টগার্ড। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ২৪ টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ।
উদ্ধারকর্মীরা পানিতে ভেসে থাকা মানুষদের মধ্যে জীবিতদের সন্ধান করছে বলে জানিয়েছেন মাল্টার প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাস্কাট।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ বলেছেন, “ইইউ কে আরো বেশি কিছু করতে হবে। উদ্ধারকাজ এবং বিপর্যয় মোকাবেলায় আরো প্রচেষ্টা নেয়া প্রয়োজন। দরকার আরো নৌকা, আরো বিমান আর সেইসঙ্গে মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইটাও আরো জোরদার হওয়া উচিত।”
সুইডেনের বিচার ও অভিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী মর্গান জোহানসন বলেছেন, “শরণার্থীদের জন্য ইইউ দেশগুলোর আরো দায়িত্ব নেয়া উচিত।”
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান এন্টোনিও গুটারেস বলেন, “এ বিপর্যয় দেখিয়ে দিয়েছে যে সমুদ্রে ভাল উদ্ধার অভিযানের ব্যবস্থা থাকা এবং ইউরোপে পৌঁছার একটি বৈধ পথ চালু করাটা কত জরুরি।”
ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি এ সপ্তাহে ইইউ নেতাদের একটি জরুরি বৈঠক ডাকেন। “ভূমধ্যসাগরে প্রতিদিনই এমন ব্যাপকহারে মানুষ মারা যাওয়ার মুখে আমরা নিস্ক্রিয় হয়ে বসে থাকতে পারি না” বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইতালীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসা থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও লিবিয়া উপকূল থেকে ২৭ কিলোমিটার উত্তরে জাহাজটি ডুবে যায় বলে জানিয়েছে ইতালীয় কোস্টগার্ড।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে লিবিয়ার উত্তরে ভূমধ্যসাগরে অপর একটি অভিবাসীবাহী জাহাজডুবির ঘটনায় ৪০০ জনের মৃত্যু হয়।