আনবারে আইএস’র সঙ্গে লড়ছে ইরাকি বাহিনী

ইরাকে আনবার প্রদেশের রাজধানী রামাদির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রবেশপথে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে লড়ছে সরকারি বাহিনী।

আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিমান হামলা ছাড়াও ইরাকের সামরিক ও পেশমের্গা বাহিনীর প্রাণপন চেষ্টার পরও দেশটির ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের কাবু করা যাচ্ছে না। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আইএস’কে এখনও “খুবই ভয়ঙ্কর” বলে বর্ণনা করেছেন।

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি বলেন, “আমরা মনে হয় তারা (আইএস) দেখাতে চাইছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাদের দমনের চেষ্টা করা সত্ত্বেও তারা এখনো ইরাকে রয়ে গেছে এবং দেশটির ক্ষতি করছে। আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রেরও এখন আমার সঙ্গে একমত হওয়ার সময় হয়েছে।” 

বৃহস্পতিবার থেকে সালাহুদ্দিন প্রদেশের বাজি শহরে ইরাকের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার  দখলের চেষ্টা করছে আইএস। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী তাদের রুখে দাঁড়ানোর প্রাণপন চেষ্টা করছে।

এমাসে ইরাকের সেনাবাহিনী ও শিয়া পেশমের্গা বাহিনী তিকরিত শহর থেকে আইএস জঙ্গিদের তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। আইএস এখন বাজি তেল শোধনাগার ও আনবার প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল পুনর্দখলের চেষ্টা করছে।

আইএস জঙ্গিরা বেশ কয়েক দিন আগেই বাজি শোধনাগারে হামলা চালায়। তারা শোধনাগারের বেশ কয়েকটি স্থাপনার দখল নিয়েছে, যার মধ্যে তেল বিতরণের একটি পয়েন্ট ও তেল মজুদ করার কয়েকটি ট্যাঙ্কও রয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত জঙ্গিরা শোধনাগারের গুরুত্বপূর্ণ কোন অংশের দখল নিতে পারেনি। সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়,  শোধনাগারের নিরাপত্তা রক্ষীদের সাহায্য করতে বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে পৌঁছেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মার্টিন ডেম্পসে রয়টার্সকে বলেন, “তেল শোধনাগারটির দখল হারানোর কোন ঝুঁকি এই মুহূর্তে নেই।”

কিন্তু জঙ্গিরা শোধনাগারটির বাইরের অংশে ঢুকে পড়েছে এবং এখন ভেতরের অংশে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইএস সমর্থকরা একটি ছবি ছড়িয়ে দেয়। ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল ‘ইসলামিক স্টেট যোদ্ধারা বাজি শোধনাগারের বাঁ দিকের অংশে ঢুকে পড়েছে।’

যদিও ওই ছবির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।