বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সংস্থাটির বার্ষিক পর্যালোচনার বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, নিরাপত্তা হুমকির ‘প্রকৃত ও ধারণা’ থেকে মৃত্যুদণ্ডকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০১৪ সালে ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। বিশেষ করে চীন ও নাইজেরিয়ায় এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
তবে চীন ছাড়া অন্যান্য দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার কমেছে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৪ সালে বিশ্বে ৬০৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০১৩ সালের তুলনায় এই হার ২২ শতাংশ কমেছে।
তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এই হার বিবেচনায় চীনকে রাখা হয়নি। কারণ চীনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্য রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার আওতায় রাখা হয়। ধারণা করা হয়, বিশ্বে সবদেশ মিলিতভাবে যে সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় শুধু চীনেই তারচে বেশি সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
২০১৪ সালে বিশ্বের ২২টি দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ সালেও একই সংখ্যক দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
২০১৪ সালে ইরানে ২৮৯ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকার করে নেয়া হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে এই সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে ৪৫৪ জন।
মিশরে বিগত ২ বছরে গণআদালতে শত শত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে কট্টর ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে দেশটির সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারের দমনের অংশ হিসেবেই এই মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে। গণআদালতের এই বিচার প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত নয় বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়।
২০১৪ সালে নাইজেরিয়ায় ৬৫৯ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫ শতাধিক।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পেশোয়ারে সামরিক বাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে তালেবান জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে প্রায় দেড়শ’ মানুষকে হত্যা করে। নিহতদের অধিকাংশই শিশু।
ওই ঘটনার পর চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তান সরকার দেশটিতে সাত বছর ধরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।