পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ছয় পরাশক্তির রুদ্ধদ্বার আলোচনায় ইসরায়েলের আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে। তবে এ অভিযোগ ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল।
Published : 24 Mar 2015, 07:52 PM
মঙ্গলবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ইসরায়েলের গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই খবরে বলা হয়, ইসরায়েল পরমাণু চুক্তি নিয়ে গোপনীয় তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য (রিপাবলিকান দলের) ও অন্যান্যদের দিচ্ছে এবং এ কারণে ওবামা প্রশাসন ইসরায়েলের ওপর রাগান্বিত।
রিপাবলিকান দলের বেশিরভাগ কংগ্রেস সদস্য ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
এ মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে বলেছিলেন, যে চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে সেই চুক্তি ‘ইরানকে পরমানু বোমা তৈরির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে’।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানি ইরানের পরমানু প্রকল্প বিষয়ে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে চাইছে। ওই চুক্তি হলে অন্তত দশ বছরের জন্য ইরানকে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম কমিয়ে ফেলতে হবে। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার অনেকাংশ তুলে নেয়া হবে।
ইসরায়েল এই আলোচনার অংশ নয়। যদিও দেশটির আশঙ্কা, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে।
জার্নালে আরও বলা হয়, গত বছর থেকে ইসরায়েল পরমাণু চুক্তি বিষয়ক আলোচনায় আড়ি পাততে শুরু করে। সেই সঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউরোপের কূটনীতিবিদদের গোপন আলোচনার তথ্যও সংগ্রহ করতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি শুরু করলে এ বিষয়টি হোয়াইট হাউজের কাছে প্রকাশ পায়।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বিবিসি’কে বলেন, তবে বিশেষভাবে যে বিষয়টি ওবামা প্রশাসনকে রাগান্বিত করেছে তা হল, তারা গোপন এ তথ্যগুলো কংগ্রেসের সদস্যদের কাছে পাচার করেছে।
“ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র পরষ্পরের ওপর গোয়েন্দাগিরি করে এটা এক ধরণে বিষয়। কিন্তু ইসরায়েল যা করছে সেটা একদমই আলাদা বিষয়। তারা যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য চুরি করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের কাছেই সেই তথ্য পাচার করে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কৌশলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।”
ইসরায়েলের শীর্ষপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিবিসি’কে বলেন, “এ অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।”
“ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র বা নিজেদের কোন মিত্রের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি করে না। এই মিথ্যা অভিযোগ পরিষ্কার ভাবে এই ইঙ্গিত দিচ্ছে, কেউ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন দুর্বল করতে চাইছে।”