আন্দোলনকারীদের বরাতে বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
২৫ বছর বয়সী লওজেইন আল-হাতালউল ও ৩৩ বছর বয়সী মায়শা আল-আমউদি প্রায় মাসখানেক সময় ধরে আটক রয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, গাড়ি চালনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্যের চাইতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা তাদের মন্তব্যের কারণেই এই মামলা সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিশ্বে সৌদি আরবই একমাত্র দেশ যেখানে নারীদের গাড়ি চালনায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
অবশ্য কৌশলগতভাবে নারীদের গাড়ি চালনা দেশটিতে অবৈধ নয়। তবে নারীরা প্রকাশ্যে গাড়ি চালালে তাদের জরিমানা অথবা গ্রেপ্তারের শিকার হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
দেশটিতে শুধুমাত্র পুরুষদের গাড়ি চালনার লাইসেন্স দেয়া হয়।
সৌদি নারীরা ধারাবাহিকভাবে গাড়ি চালনার এই বিধি-নিষেধ কমানোর ব্যাপারে আন্দোলন করে আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা এরপক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গাড়ি চালনার চেষ্টার অভিযোগে ১ ডিসেম্বর লওজেইন আল-হাতালউলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আর হাতালউলকে সাহায্যের জন্য সীমান্তে আসা মাত্র মায়শা আল-আমউদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমউদি আমিরাতের একজন সাংবাদিক।
ট্যুইটারে এই দুই নারীর বিপুল সংখ্যক ফলোয়ার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় আল-আশার একটি আদালত নির্দেশ দেয়, এই দুই নারীর বিচার রাজধানী রিয়াদের বিশেষায়িত আদালতে হওয়া উচিৎ। ওই আদালত সন্ত্রাসসম্পর্কিত অপরাধের বিচারের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ওই দুই নারীর আইনজীবীরা মামলা স্থানান্তরের বিরুদ্ধে আপিলের পরিকল্পনা করছেন।