পেশোয়ারে স্কুলে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে পাকিস্তান তালেবান বলেছে, সেনা অভিযানের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছে তারা।
Published : 16 Dec 2014, 06:46 PM
মঙ্গলবার দুপুরের আগে পাঁচ থেকে ছয়জন জঙ্গি সামরিক পোশাকে পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে ঢুকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। তখন নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালালে গোলাগুলিতে অন্তত ১৩২ স্কুলশিশুসহ ১৪১ জন নিহত হয়।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার রাজধানী পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত ওই স্কুলে হামলার বিষয়ে তেহরিক-ই তালেবানের দায়িত্ব স্বীকারের খবর রয়টার্স ছাড়াও পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে এসেছে।
তালিবানের মুখপাত্র মুহাম্মদ উমর খোরাসানিকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, “আমরা হামলার জন্য সেনাবাহিনীর স্কুলকে বেছে নিয়েছি, কারণ সরকার আমাদের পরিবার ও নারীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে।
“আমরা চাই, তারাও ওই ব্যথা অনুভব করুক।”
দায় স্বীকার করে দেওয়া বিবৃতিতে খোরাসানির বলেন, ছয়জন তালেবান যোদ্ধা এই হামলায় অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে স্নাইপার ও আত্মঘাতী হামলাকারীও ছিলেন।
তালেবানের এক মুখপাত্রের বরাতে পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর ওয়াজিরিস্তান ও খাইবার উপত্যকায় সামরিক বাহিনীর অভিযানের জবাবেই তারা এই হামলা চালিয়েছে।
সম্প্রতি ওই দুটি এলাকায় জঙ্গি দমনে সেনা অভিযানে কয়েক হাজার তালেবান নিহত হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবর।
পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসিত উপজাতীয় অঞ্চল ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে ২০০৭ সালে একটি জোট হিসেবে তেহরিক-ই তালিবান আত্মপ্রকাশ করে।
কুরআনের নির্দেশনার কঠোর ব্যাখ্যা দিয়ে পাকিস্তানজুড়ে তা বাস্তবায়ন করতে চায় তালেবানরা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে পরিচালিত যৌথবাহিনীকে আফগানিস্তান থেকে হটাতে চায়। তালেবান আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলে, যাদের মধ্যে পাকিস্তানে আল কায়েদার সাবেক প্রধানও রয়েছে।
টিটিপির প্রথম কমান্ডার বায়তুল্লাহ মেহসুদ ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট একটি বিস্ফোরণে নিহত হওয়ার পর দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন হাকিমুল্লাহ মেহসুদ।