মঙ্গলবার পাঞ্জাব প্রদেশের মফস্বল শহর কোট রাধাকৃষ্ণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি ও এনডিটিভি।
নিহতদের শামা মেসিহ ও শেহজাদ মেসিহ বলে সনাক্ত করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের ওই ইটখোলাতে নিহত দম্পতি শ্রমিকের কাজ করতো।
এই দম্পতির বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং তাদের চারটি সন্তান রয়েছে।
ছাইয়ের মধ্যে কোরানের পোড়া পৃষ্ঠা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে এসব পৃষ্ঠা পোড়ানোর অভিযোগ তোলা হয় বলে জানা গেছে।
এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই দম্পতিকে ইটখোলার একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন খোলাটির মালিক ইউসুফ গুজ্জর। ওই দম্পতির সঙ্গে ধারের টাকা নিয়ে ইউসুফের বিবাদ চলছিল বলে জানা গেছে।
পাওনা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করার পর ইউসুফ তাদের বিরুদ্ধে কোরান পোড়ানোর অভিযোগ আনেন বলে স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে কয়েকজন।
ইতোমধ্যে স্থানীয় ইমামরা এই ঘটনা প্রচার করে লোকজনকে জড়ো হতে বলেন। এতে ওই ইটখোলায় কয়েকশ’ লোক এসে জড়ো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উপস্থিত লোকজনের মধ্যে একটি অংশ দরজা ভেঙে ওই দম্পতিকে বের করে নিয়ে আসেন।