‘পাকিস্তানে বন্যার জন্য দায়ী ভারত’

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার পেছনে ভারতের হাত আছে বলে প্রচার করছে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের নেতারা।

>>রয়টার্স
Published : 17 Sept 2014, 09:19 AM
Updated : 17 Sept 2014, 09:19 AM

“ভারত সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের মরুভূমিগুলোতে পানি সরবরাহ করেছে আর অতিরিক্ত পানি পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এখনই এ কাজ করা থেকে আমরা ভারতকে বিরত করতে না পারলে পাকিস্তান সব সময়েই এই বিপদের মুখে পড়বে,” বলেন গোষ্ঠিটির নেতা হাফিজ সাইয়িদ।

নৌকাযোগে পাকিস্তানের মুলতান শহরের আশপাশের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করার পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একথা বলেন তিনি। অনেকেই তাকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বিপজ্জনক জঙ্গি হিসেবে বিবেচনা করেন।

তার এসব কথাবার্তা ভারতের অল্প মানুষকেই বিস্মিত করেছে। কারণ ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে তাকে সন্দেহ করে ভারতীয়রা। ওই ভয়াবহ হামলায় ১৬৬ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র তার মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করলেও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাইয়িদ।

পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিন নেতা হাফিজ সাইয়িদ

বন্যায় এ পর্যন্ত পাকিস্তানের কয়েকশত লোক মারা গেছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ডুবে গিয়ে সবকিছু হারিয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তানের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল, জঙ্গিগোষ্ঠী ও অন্যান্য সংগঠন।
বন্যার্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বিদ্যমান অবিশ্বাসকে আরো গভীর করে তুলতে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।
তার মধ্যে ওই ‘পানি বোমা’ অন্যতম। পানি পাকিস্তানের অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু। হিমালয়ের তুষারগলা পানি দেশটির মানুষ পান করা থেকে শুরু করে কৃষিকাজসহ সব ক্ষেত্রেই ব্যবহার করে।
অনেক পাকিস্তানিই বিশ্বাস করেন, উজানে বাধ নির্মাণ করে ভারত পাকিস্তানের গম ও তুলার ক্ষেতে সরবরাহ করা সেচের পানি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। অনেকে মনে করে পাকিস্তানকে দুর্বল করতেই ভারত এই “পানি বোমা” ব্যবহার করছে।
এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বস্তুত এসব অভিযোগে প্রমাণ করার মতো কোনো সাক্ষ্যও নেই।
কাশ্মিরের পার্বত্য অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট এ বন্যা ভারতকেও ভুগিয়েছে। কিন্তু তারপরও চির বৈরি এই এই দেশটির দুটির একটির জনগণকে উস্কে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ভিত্তি গভীর করার চেষ্টা করছে পাকিস্তানের উগ্রপন্থী গোষ্ঠিগুলো।