সিরিয়ায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা ‘আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন’ হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে রাশিয়া।
Published : 11 Sep 2014, 09:47 PM
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, জাতিসংঘের সমর্থন ছাড়া এটি হবে এক ধরনের আগ্রাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জোট গড়ার চেষ্টায় সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় এ হুঁশিয়ারি এল।
প্রেসিডেন্ট ওবামা সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। আইএস সিরিয়া এবং ইরাকের বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে।
ওবামা এক বক্তব্যে তার কৌশলের রূপরেখা দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা কোনো গ্রুপ স্বর্গরাজ্য পাবে না। তিনি আরো বলেন, ৪৭৫ জন মার্কিন কর্মকর্তাকে ইরাকে পাঠানো হবে। কিন্তু তারা যুদ্ধাভিযানে নিয়োজিত থাকবে না।
তিনি বলেন, “আমরা আইএসকে পর্যদুস্ত করে দেব এবং তাদেরকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেব।”
কিন্তু এক বিবৃতিতে এর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র দেশ রাশিয়া।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অ্যালেক্সান্ডার লুকাশেভিচ বলেছেন, “সিরিয়ায় সরকারের আইনগত অনুমোদন না নিয়েই সেখানে আইএস এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শসস্ত্র বাহিনীর হামলার সম্ভাব্যতা সম্পর্কে সরাসরি কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট”।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া এ পদক্ষেপ এক ধরনের আগ্রাসন এবং আন্তর্জাতিক আইনের বড় ধরনের লঙ্ঘন।
জাতীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী আলি হায়দার বৃহস্পতিবার বলেছেন, “সিরিয়া সরকারের অনুমতি ছাড়া সেখানে কোনোধরনের কোনোরকম ব্যবস্থা হামলা বলেই গণ্য হবে”।
গত মাসে সিরিয়া আইএস এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। ইরাকে আইএস এর বিরুদ্ধে ১৫০ টি বিমান হামলা চালানোসহ আইএস এর বিরুদ্ধে ইরাকি ও কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অস্ত্র সহায়তা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।