জাফর টাওয়ারে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর গাজায় একটি মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে বিমান থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এতে মোটর সাইকেলের দুই আরোহী নিহত হন বলে হাসপাতালকর্মীরা জানান।
গত ৮ জুলাই গাজায় অভিযান শুরুর পর শনিবারই প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি সেনারা ব্যাপক আকারে বহুতল ভবন ধ্বংস করে বলে রয়টার্সের সাংবাদিক জানান।
হামাস নেতারা ভবনগুলো বৈঠক করার কাজে ব্যবহার করে থাকে বলে দাবি করা হলেও ক্ষতিগ্রস্তরা তা নাকচ করেছেন।
শুক্রবার হামাসের রকেট হামলায় চার বছরের এক ইসরায়েলি শিশু নিহত হওয়ার পর গাজায় হামলা জোরদার করে সেনাবাহিনী। শিশুর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামলার জন্য হামাসকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
গাজার বাসিন্দারা জানায়, শনিবার ধ্বংস হওয়া বহুতল ভবনে ৪৪টি পরিবার বসবাস করত। হামলায় ভবনের আশপাশের ১৭ জন আহত হয়।
মিশর নতুন করে হামাস ও ইসরায়েলকে শান্তি আলোচনার জন্য ডাকলেও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
ওদিকে, শনিবার লেবাননের দিক থেকে ইসরায়েলে দুটি রকেট ছোড়া হয় বলে শোনা যাচ্ছে। সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলের দখলকৃত গোলান মালভূমিতে পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়েছে বলে তেল আবিব দাবি করেছে।
তবে কেউ এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি এবং নির্ভরযোগ্য সূত্রে ঘটনার সত্যতাও যাচাই করা যায়নি।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, গত ৮ জুলাই ইসরায়েলের সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে গাজায় দুই হাজার ৮৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চার শতাধিক শিশুও রয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের পক্ষে নিহত হয়েছে ৬৪ জন সেনাসদস্য। এছাড়া, হামাসের রকেট হামলায় শিশুসহ চার ইসরয়েলি নিহত হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর গাজায় চার লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহারা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত কয়েক দশকের মধ্যে এটি গাজায় সর্বাধিক বেসামরিক নাগরিক শরণার্থী হওয়ার ঘটনা বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব সংস্থাটি।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত এক ফিলিস্তিনি পথচারীর শরীরের আগুন নেভাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ছবি: রয়টার্স। ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত এক ফিলিস্তিনি পথচারীর শরীরের আগুন নেভাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ছবি: রয়টার্স।