পার্লামেন্টের পেছনের দরজা দিয়ে পালালেন এমপি’রা

পাকিস্তানে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের অবরোধের মুখে পার্লামেন্টের পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেছেন এমপি’রা।

>>রয়টার্স
Published : 20 August 2014, 06:39 PM
Updated : 20 August 2014, 06:39 PM

নওয়াজ শরীফের পদত্যাগের দাবিতে চলতে থাকা কয়েকদিনের আন্দোলনের পর বুধবার পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করে তাহির উল কাদেরি ও ইমরান খানের সমর্থকরা।

তারা পার্লামেন্ট থেকে কাউকে বের হতে কিংবা কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেবে না বলে ঘোষণা দেয়।

কাদেরির দল পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিক (পিএটি) ও ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই-ইনসাফ (পিটিআই) কর্মীরা পাঁচদিন ধরে ইসলামাবাদের রাজপথে অবস্থান নিয়ে আছে।

বিগত পার্লামেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে এবং প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি করছেন তারা।

ওদিকে, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা কাদেরি ও ইমরানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সরকার বিরোধী আন্দোলনের কারণে পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকার বিদায় নিয়ে সেখানে আবার সামরিক প্রশাসন ফিরে আসতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষক মত দিচ্ছেন।

বর্তমান সরকারের অধীন সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মুশাররফের বিচার চলার কারণে সেনাবাহিনীর একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়ে থাকতে পারেন বলে তাদের ধারণা।

তবে বিক্ষোভের মধ্যেও ঊর্ধতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।
মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভকারীরা ক্রেন ও বোল্ট কাটারের সাহায্যে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। বুধবার বিক্ষোভকারীদেরকে প্রধানমন্ত্রী ও এমপিদেরকে অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন কাদেরি।

সেদিন তারা পার্লামেন্ট ভবনে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন।

“যারা ভেতরে আছে তাদের বের হতে দেবেন না, আর বাইরের কাউকে সেখানে ঢুকতে দেবেন না,” বলেন কাদেরি।

পার্লামেন্ট পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদেরকে কোনো রূপ বাধা দেয়নি। কাদেরিও তার সমর্থকদেরকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

সরকার দলীয় এমপি মারভি মেমন বলেন, পার্লামেন্ট উপস্থিত সব এমপিই বিক্ষোভকারীদের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং সরকারের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।

পার্লামেন্টের পেছনে থাকা বিকল্প পথে তারা কাজ শেষে বেরিয়ে এসেছেন বলে জানান মরাভি।

বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের অধিবেশন আবার বসবে জানিয়েছে তিনি আরো বলেন, “সেখানে রয়েছে গুটিকয়েক বিক্ষোভকারী। তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।”

এদিকে, সরকার বিরোধী বিক্ষোভের অন্যতম নেতা ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে পদত্যাগের জন্য বুধবার রাত ৮টা সময় বেঁধে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার তিনি বলেছিলেন, এ সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চলে আসবেন। কোনো পুলিশ কিংবা আর্মি তার কর্মীদেরকে দমাতে পারবে না।

তবে হুমকি উপেক্ষা করেও বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।