রোববার ট্রেনে তোলা হয়েছে ১৯৬ টি লাশ। পরে আরো মৃতদেহ নেয়ার জন্য আরেকটি ট্রেন সেখানে পৌঁছেছে। তিন ফরেনসিক বিজ্ঞানী লাশগুলোর পরিচয় সনাক্ত করবেন।
বিশেষজ্ঞদেরকে বিমান বিধ্বস্তস্থলে প্রবেশ করতে দেয়ার জন্য রুশপন্থি বিদ্রোহীদের ওপর চাপ বাড়ছে। গত সপ্তাহে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ১৭ ফ্লাইট ভূপাতিত করায় রাশিয়ার জড়িত থাকার নানা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ।
গত বৃহস্পতিবার দোনেস্কে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এমএইচ১৭ ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে ২৯৮ আরোহীর সবাই নিহত হয়।
ইউক্রেইনের বিদ্রোহীদেরকে রাশিয়ার সরবরাহ করা বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেই বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নেদারল্যান্ডসেরই সবচেয়ে বেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। বিমান বিধ্বস্তস্থলে তদন্তকারীদেরকে অবাধে প্রবেশ করতে না দেয়া হলে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে সোমবার রুশপন্থি বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ার করেছেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত।
“আমরা আমাদের লোকজনদের ফেরত চাই,” বলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক তদন্তকারী হিসাবে ডাচ বিশেষজ্ঞরাই প্রথম বোয়িং৭৭৭ বিধ্বস্ত হওয়ার জায়গায় গেলেন। ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংগঠনের(ওএসসিই)পর্যবেক্ষকরা এর আগে দুর্ঘটনাস্থলে গেলেও বিদ্রোহীরা তাদেরকে স্থানটি পরিদর্শনে বাধা দিয়েছে।
৩১ জন আন্তর্জাতিক তদন্তকারীর আরেকটি দল এ মুহূর্তে পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহরে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এ দলটি শিগগিরই ঘটনাস্থলের কাছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।