ওআর ট্যাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১৬০০টির বেশি প্রাণী দুইটি ঝুড়িতে গাদাগাদি করে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে যেসব প্রাণী বেঁচেছিল সেগুলোকে জোহানেসবার্গ চিড়িয়াখানায় নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সেগুলোর অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে।
চিড়িয়াখানা চিকিৎসক ব্রেট গার্ডেনার বিবিসিকে বলেন, “১২০০টির বেশি প্রাণীর অবস্থা স্থিতিশীল। সেগুলো পানি পান করছে এবং খাবার খাচ্ছে। সেগুলো বেঁচে যাবে। বাকিদের অবস্থা অত্যন্ত ভাল নয়।“
দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার সময় কিছু প্রাণী স্বাভাবিকভাবেই মারা যায় জানিয়ে গার্ডেন আরো বলেন, “প্রাণীভর্তি বাক্সগুলো মঙ্গলবার সকালে বিমানবন্দরে আনা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায়ই সেগুলো বিমানে তোলার কথা ছিল। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ‘ফ্লাইট ডিলে’ হয়ে যায় এবং সেগুলোকে অন্য ফ্লাইটে দেয়ার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।“
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাণীগুলোকে মাদাগাসকার থেকে আনা হয়েছে এবং সেগুলো অন্তত পাঁচদিন কোন রকম খাবার ও পানি ছাড়া রাখা হয়েছে।
সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি পোষা প্রাণীর বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার এনএসপিসিএ পরিদর্শকরা প্রাণীগুলোকে খুঁজে পান। প্রতিদিনের মতো কার্গো পরিদর্শনের সময় ‘দুর্গন্ধ’ বের হলে তারা দেখতে পান প্রাণীগুলোর মধ্যে কিছু এরইমধ্যে মরে গিয়ে পঁচতে শুরু করেছে। বাকিগুলো কোনো রকমে বেঁচে আছে।
সেখানে অন্ততপক্ষে ৩০ প্রজাতির ব্যাঙ, গিরগিটি ও টিকটিকি ছিলো। সেগুলোকে দুইটি ঝুড়ির মধ্যে একটার ওপর আরেকটা রাখা হয়েছিল।