ধনী দেশগুলোতে বিষন্নতা প্রতিরোধক ওষুধের ব্যবহার বাড়ছে। গত এক দশকে এ হার দ্বিগুণ হয়েছে বলে এক তথ্যে জানিয়েছে, ‘অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ (ওইসিডি)।
Published : 13 Jan 2014, 09:11 PM
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, কোনো কোনো দেশে ডাক্তারা প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জনে একজনেরও বেশি মানুষের চিকিৎসায় বিষন্নতা প্রতিষেধক দিচ্ছেন। আইসল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নরডিক দেশগুলোতে এ হার তুলনামূলকভাবে বেশি।
অন্যান্য উপাত্তে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ শতাংশের বেশি মার্কিনী বিষণ্নতা প্রতিরোধী ‘এন্টিডিপ্রেসেন্ট’ ব্যবহার করে থাকে। চীনে গত তিন বছরের মধ্যে প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে বিস্তৃত হয়েছে এন্টিডিপ্রেসেন্টের বাজার।
অবশ্য বিশ্বব্যাপী মানুষের বিষন্নতায় ভোগার হার অবশ্য এভাবে বাড়েনি। যদিও অনেক দেশেই বহু মানুষের বিষন্নতা রোগ ধরা পড়ছে।
ওইসিডি-এর মতে, বিষন্নতা প্রতিরোধী ওষুধের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে অর্থনৈতিক সঙ্কট।
উদাহরণস্বরূপ- স্পেন এবং পর্তুগালে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে সম্প্রতি এন্টিডিপ্রেসেন্টের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে ওইসিডি। আর এ ধরনের ওষুধের প্রেসক্রিপশন দেওয়া র হার গত ৫ বছরে ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে বলে জানায় ওইসিডি।
২০১১ সালে আইসল্যান্ডের ১০ শতাংশ মানুষ মেজাজ প্রফুল্ল রাখার ওষুধ সেবন করেছেন৷ ২০০০ সালে এ হার ছিল ৭ শতাংশ৷ অস্ট্রেলিয়ায় ২০১১ সালে বিষন্নতা প্রতিষেধক সেবনের হার আগের বছরের ৪৫ দশমিক ৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৮ দশমিক ৯। কানাডায় ২০০৭ সালে প্রথম প্রকাশিত পরিসংখ্যান ৭৫ থেকে পরবর্তীতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৯ এ। ডেনমার্কে এ হার ৩৪ দশমিক ৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ দশমিক ২।
২০১১ সালে বিষন্নতার ওষুধ সেবনের হার সবচেয়ে কম দেখা গেছে চিলিতে। অন্যদিকে, গত দশকে যুক্তরাজ্যে বিষন্নতা প্রতিরোধী ওষুধ সেবনের হার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৩৫ কোটির মতো মানুষ বিষন্নতা বা মানসিক অবসাদে ভুগছে৷ দক্ষিণ ইউরোপে অর্থনৈতিক অনিশ্চিয়তার কারণে ডিপ্রেশনের ওষুধের চাহিদা বেড়েছে৷ বিশেষ করে স্পেন ও পর্তুগালে এই হার ২০ শতাংশ বেড়েছে৷