জুমার নামাজের খুতবায় রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে ইমামকে চাকরি হারাতে হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
Published : 03 Jan 2014, 05:09 PM
সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী সালেহ আল-আশেখের বরাত দিয়ে শুক্রবার আরব নিউজের খবরে বলা হয়, কেউ এই নির্দেশনা লংঘন করছে কি-না তা দেখতে সব মসজিদ ও ইমামের ওপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নজরদারিও চালানো হবে।
তিনি বলেন, “এ ধরনের ইমামদের প্রশিক্ষণ দিতে আমরা একটি পরামর্শক প্যানেল তৈরি করেছি। তারা ঠিকভাবে সাড়া দিলে এবং নির্দেশনা মেনে চললে ইমামতি চালিয়ে যেতে পারবেন। আর তা না হলে আমরা তাদের বলে দেব, আপনি ইমামতি করার উপযুক্ত নন।”
সৌদি মন্ত্রী বলেন, “খুতবায় রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে সমাজে বিভেদ তৈরি হবে এবং মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াবে। ধর্ম প্রচারকদের উচিত আল্লাহ ও তার নবীর বাণী প্রচার করা এবং মানুষকে ধর্ম পালনে উৎসাহিত করা।”
তার এ ঘোষণাকে অনেকে সমর্থন জানালেও আপত্তি তুলেছেন কেউ কেউ।
ইমামদের রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত রাখার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এক সৌদি শিক্ষক বলেন, “মসজিদ ও এ ধরনের অন্যান্য প্লাটফর্ম জনগণের কল্যাণে ব্যবহার হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে নির্দেশনা থাকাটা সবচেয়ে ভালো উপায়। উগ্রপন্থীরা যে ভুল ভাবমূর্তি তৈরি করেছে তা শোধরাতে উদ্যোগ নিতে হবে।”
এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত এক সৌদি নাগরিক বলেন, “জীবনের অন্যান্য দিক থেকে ইসলামকে আলাদা করলে ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিস্থিতি তৈরি হবে।”