মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, একই ঘটনার জন্য বেশ কয়েকজন নাবিককে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন নৌবাহিনীর নেভাল অপারেশনের উপপ্রধান অ্যাডমিরাল বিল মোরান বিবিসিকে জানান, কমান্ডিং অফিসার এবং আরও দুই কর্মকর্তার নেতৃত্ব নিয়ে আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলায় তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সেভেন্থ ফ্লিটের অংশ হিসেবে ২০০৪ সালে জাপান সাগরে মোতায়েন করা হয় ইউএসএস ফিটজারগেল্ডকে।
তখন থেকেই এটি জাপান, ফিলিপিন্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনামসহ উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে আসছিল।
জুনে টোকিও উপকূলের কাছে ফিটজারগেল্ডের সঙ্গে ফিলিপিন্সের পতাকাবাহী এসিএক্স ক্রিস্টালের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ডেস্ট্রয়ারের নিচের দিকে বড় ধরনের গর্ত সৃষ্টি হয়; পানিতে ভেসে যায় নিচের ডেক।
ডুবুরিরা জাহাজটির ধ্বংস হয়ে যাওয়া অংশে প্রবেশ করার পর ৭ নাবিকের খোঁজ মেলে; ১৯ থেকে ৩৭ বছর বয়সী মৃত নাবিকরা তাদের বাঙ্কারেই ছিলেন।
কমান্ডিং অফিসার তার কেবিনেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে ছিলেন; পাঁচজন নাবিক স্লেজহেমার ব্যবহার করে তার কেবিনের দরজা ভাঙতে পারে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সংঘর্ষে এসিএক্স ক্রিস্টালের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি; কনটেইনারবাহী জাহাজটিতে থাকা ২০ ফিলিপিনো ক্রু’ও ছিলেন অক্ষত।
এ ঘটনা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।