সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যোগ আছে সন্দেহে ইয়েমেন, কাতার ও লিবিয়ার কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে কালো তালিকাভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব ও মিত্র দেশগুলো।
Published : 25 Jul 2017, 03:40 PM
মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে বাহরাইন, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব এ ঘোষণা দেয় বলে জানিয়েছে দ্য ডন।
বিবৃতিতে দেশ চারটি ‘কাতারের সরকারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে’ যুক্ত নয়টি প্রতিষ্ঠানকে ‘সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠান’ এবং নয় ব্যক্তিকে ‘সন্ত্রাসী’ অ্যাখ্যা দেয় বলে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসপিএ জানিয়েছে।
গত মাসে এই চার দেশ সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক স্থগিত করে। শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার।
দেশ চারটি কাতার থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের ফেরত আনে, কাতারি বিমানকে তাদের আকাশসীমায় নিষিদ্ধ করে এবং তাদের দেশে থাকা সব প্রবাসী কাতারিকে দেশে ফিরে যাওয়ার আদেশ দেয়।
অবরোধ প্রত্যাহারে তারা কাতার সরকারকে ১৩ দফা দাবি দেয়, যার মধ্যে আছে কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আল জাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধ।
মঙ্গলবারের বিবৃতিতে চার আরব দেশ ইয়েমেনের ছয়টি এবং লিবিয়ার চারটি প্রতিষ্ঠানকেও আল-কায়েদা ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে কালো তালিকাভুক্তির ঘোষণা দেয় বলে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি তিন কাতারি, তিন ইয়েমেনি, দুই লিবীয় এবং এক কুয়েতি নাগরিক জাবাত আল নুসরাসহ সিরিয়ার বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহের প্রচারণার করেছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে তাদের কালো তালিকাভুক্তির কথা জানানো হয়।
চার আরব দেশের অবরোধে যোগ দেয়নি কুয়েত; বরং ১৯৮১ সালে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা গঠনের পর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে তৈরি হওয়া সবচেয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বে আরব সামরিক জোট ও মিত্র ইয়েমেনি সরকার ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৫ সালে সৌদি জোট যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার পর থেকে ইয়েমেনের যুদ্ধে ৮ হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।