এনডিটিভি জানায়, শুরুতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হলেও পরে তা তুলে নেওয়া হয়। এখন তাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ব্যাঘাত ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভারতের আইনে বড়ধরণের অপরাধগুলোর অন্যতম রাষ্ট্রদ্রোহ। এটি জামিন অযোগ্য অপরাধ এবং সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
গত ১৮ জুন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে পাকিস্তান।
ওই দিন ভারতের বিপক্ষে স্লোগান দিয়েছে অভিযোগ তুলে মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলার মহদ গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই বয়সে তরুণ এবং মুসলিম।
পুলিশের দাবি, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ওই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় মহদ গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ খলি পুলিশের করা এই মামলা চ্যালেঞ্জ করেছেন বলেও জানায় এনডিটিভি।
এই সুভাষই ফোনে তাদের কাছে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
পরে আদালতে সুভাষ বলেন, পাকিস্তানের জয়ে গ্রামের কেউেই কোনো ধরনের উদযাপন করেনি, মিষ্টি বিতরণ করেনি বা পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেয়নি।
“পুলিশই আমার ফোন ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগ করে এবং লিখিত অভিযোগে কৌশলে আমার স্বাক্ষর নেয়। পুলিশের ভয়ে এতদিন আমি লুকিয়ে ছিলাম।”
গত ২০ জুন ওই ১৫ জনকে গ্রেপ্তারের পরদিন আদালত তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে দেয় এবং এতদিন তারা খান্দওয়া জেলা কারাগারে ছিল।