ক্ষেপণাস্ত্রের মাথায় বসানো বোমার শেষপর্বের নিয়ন্ত্রণের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে সাফল্যজনকভাবে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
Published : 22 May 2017, 12:53 PM
উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন পরীক্ষাটির তত্ত্বাবধান করেছেন বলে সোমবার জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যে আঘাত হানার সামর্থ্য আরো বাড়লো, এমন ইঙ্গিত দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
পরীক্ষায় পুকগুকসং-২ ক্ষেপণাস্ত্রের সলিড-ফুয়েল ইঞ্জিনের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করা হয় এবং সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্য কিম এটি মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে কেসিএনএ।
“গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, ক্ষেপণাস্ত্রটির লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানার হার বেশ নির্ভুল এবং পুকগুকসং-২ একটি সফল কৌশলগত অস্ত্র, অ্যাকশনের জন্য এই অস্ত্রটি মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি (কিম),” বলে কেসিএনএ।
ক্ষেপণাস্ত্রে সলিড ফুয়েলের ব্যবহার বড় ধরনের অগ্রগতির কথা জানান দেয়, কারণ এই জ্বালানি বেশ স্থিতিশীল এবং খুব সহজেই ক্ষেপণাস্ত্রের জ্বালানি-ট্যাঙ্কে এটি ভরা যায়। এ কারণে স্বল্প সময়ের নোটিশেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রোববার উৎক্ষেপণ করা পুকগুকসং-২ ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫৬০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মাইল) দূরে উড়ে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের সাগরে পড়েছে।
তাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর লাগাম টেনে ধরার সব আহ্বান উপেক্ষা করে কর্মসূচীটি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এমনকি এ বিষয়ে একমাত্র ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের কথাও শোনেনি দেশটি।
নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার তাদের আছে আর সেই কারণেই এসব অস্ত্র তাদের দরকার বলে দাবি করেছে দেশটি। এক সপ্তাহ আগেও আরেকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল তারা।