ঘূর্ণিঝড় ডেবি: ব্যাপক বন্যার ঝুঁকিতে কুইন্সল্যান্ড

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ডেবির আঘাতের পর অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলের ১,৩০০ কিলোমিটার এলাকা মারাত্মক বন্যার ঝুঁকির মুখে আছে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2017, 03:57 AM
Updated : 29 March 2017, 04:07 AM

মঙ্গলবার ডেবির তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, মুষলধারে বৃষ্টি ও লাখো বাড়িতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

পরিস্থিতি পর্যালোচনায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল একটি দুর্যোগ মোকাবিলা পরিকল্পনা সক্রিয় করেছেন। 

বুধবার কুইন্সল্যান্ডের উপকূলীয় এলাকায় ২৫০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে ওই এলাকায় ব্যাপক বন্যার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

বন্যার পানিতে আটকা পড়া এড়াতে স্থানীয় বাসিন্দাদের রাস্তায় বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কুইন্সল্যান্ডের দমকল বিভাগের কমিশনার ক্যাটরিনা ক্যারল বলেছেন, “এরই মধ্যে গাড়িতে আটকা পড়ার দুটি ঘটনা ঘটেছে।”

বন্যার্তদের উদ্ধার করা নিয়েই এখন ‘সবচেয়ে উদ্বিগ্ন’ হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন ক্যারল। 

কুইন্সল্যান্ডে প্রকৃতি তার ‘নিকৃষ্ট তাণ্ডব’ দেখাচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী টার্নবুলও একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে কুইন্সল্যান্ডের বোয়েন ও এয়ারলি সৈকতের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ক্যাটাগরি চার মাত্রার ঘূর্ণিঝড়টি অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানে। ঘন্টায় ২৬৩ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে স্থলে উঠে আসা ডেবি এখন ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হয়েছে।  

কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার আনাস্তাসিয়া পালাসে তিনজনের আহত হওয়ার কথা জানিয়ে সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন। ৬৩ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে বোয়েন, এয়ারলি সৈকত, প্রোসারপাইন এবং কলিন্সভাইল অন্যতম বলে জানিয়েছেন কুইন্সল্যান্ডের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার।

সরকারি অবকাঠামো মেরামতের জন্য কুইন্সল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিয়োগ করা হয়েছে।

কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ মেরিন পার্ক কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, আসার পথে ঘূর্ণিঝড় ডেবি প্রবাল প্রাচীরটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

২০১১ সালে কুইন্সল্যাণ্ডে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসির তাণ্ডবের পর এটাই ওই অঞ্চলে আসা সবচেয়ে শক্তিশালী সাইক্লোন বলে জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়টির পথে পড়া স্থানীয় ২৫ হাজার বাসিন্দাকে জরুরি ভিত্তিতে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।