এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় একটি ইঞ্জিন নৌকায় করে নিহত ব্রিদগো অন্যান্য জেলেদের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ওই ক্ষুদ্র দ্বীপটির কাছে মাছ ধরছিলেন। এ সময় সেখানে শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে গুলিবর্ষণ করে বলে মৎস বিভাগের সহকারী পরিচালক কুলানচিনাথন জানিয়েছেন।
নিহত ব্রিদগো (২২) তামিলনাডুর রামেশ্বরামের থানগাচিমাদাম এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ঘাড়ে বিদ্ধ গুলিতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছেন কুলানচিনাথন।
গুলিতে ২২ বছর বয়সী আরেক ভারতীয় জেলে সারাভানান আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সারাভানানের পায়ে গুলি লেগেছে।
গুলিবর্ষণের মুখে অন্যান্য জেলেরা পালিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রামেশ্বরামের উপকূলে চলে আসে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রামেশ্বরাম জেলে সমিতির সভাপতি পি সেসুরাজা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ওই সময় দুই হাজারের বেশি ভারতীয় জেলে নিজেদের জলসীমার মধ্যে মাছ ধরছিল, এ সময় সেখানে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হওয়ায় তারা বিস্মিত হয়।
শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা সতর্কতামূলক কোনো গুলিও ছুড়েনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
নিহত জেলের লাশ রামেশ্বরাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ঘটনার বিষয়ে জেটি পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুলানচিনাথন।
শ্রীলঙ্কান নৌবাহিনীর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে থানগাচিমাদাম এলাকার জেলেরা হাসপাতালের সামনে জড়ো হয় বিক্ষোভ করেছেন বলে জানা গেছে।
বিতর্কিত জলসীমায় মাছ ধরার কারণে সম্প্রতি বেশ কিছু ভারতীয় জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী। এই মূহুর্তে ৮৫ জন ভারতীয় জেলে এবং ১২৮টি মাছ ধরার ট্রলার শ্রীলঙ্কার হেফাজতে আছে বলে জানিয়েছে তামিলনাডু সরকার। এদের মধ্যে ৩২ জনকে গত কয়েকদিনে আটক করা হয়েছে।