ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের নীতি থেকে সরে গেল যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট সমাধানে ‘দুই রাষ্ট্রভিত্তিক’ কয়েক দশকের নীতি থেকে সরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

>>রয়টার্স
Published : 15 Feb 2017, 10:43 PM
Updated : 15 Feb 2017, 11:00 PM

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

একই সঙ্গে দু’পক্ষকে ছাড়ের মানসিকতা নিয়ে আলোচনায় আসারও তাগিদ দেন গতমাসে দায়িত্ব নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

সর্বশেষ ২০১৪ সালে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুই দেশের মধ্যে সংলাপ হয়েছিল, যা পরবর্তীতে আর এগোয়নি।

আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগের সীমানা অনুযায়ী সব ফিলিস্তিনি এলাকাকে নিয়ে জেরুজালেমকে রাজধানী করে রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার নীতি এতদিন সমর্থন করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র, যা থেকে দৃশ্যত সরে গেলেন ট্রাম্প।

গতমাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে কয়েক হাজার নতুন বসত তৈরির অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বা নেতানিয়াহুর কেউই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলেননি।

ট্রাম্প বলেন, “সুতরাং আমি দুটি রাষ্ট্র এবং সেই সঙ্গে একটি রাষ্ট্র নিয়ে ভাবছি। আমি সেটিকেই সমর্থন দেব যা দুই পক্ষই চায়।”

 

“আমি যেকোনো একটির সঙ্গে থাকতে পারি। সত্যি বলতে কি, যদি বিবি (নেতানিয়াহু) এবং ফিলিস্তিনিরা সমর্থন করে, তাহলে আমি সেই অভিন্ন মতের পক্ষে আনন্দ চিত্তে থাকব।”

শান্তি প্রতিষ্ঠা দুই পক্ষের মতামতের উপরই নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এ সময় ট্রাম্প তার নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী তেল-আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরেন।

‘দুই রাষ্ট্র’ সমাধানের বিষয়ে নেতানিয়াহু’র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তিনি ফলাফলের দিকেই নজর দিতে চান, উপরের আস্তরণে নয়।

শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুটি পূর্ব শর্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রথমতঃ ফিলিস্তিনিদের ইহুদি রাষ্ট্র স্বীকার করে নিতে হবে। দ্বিতীয়তঃ ইসরায়েলকে জর্ডান নদীর পশ্চিমের পুরো এলাকায় নিয়ন্ত্রণ দিতে রাজি থাকতে হবে।